খবরাখবর

৭২ তম স্বাধীনতা দিবসের কুজকাওয়াজের এবারের বিশেষ আকর্ষণ “সবুজ সাথী প্রকল্প”

ঈশানী মল্লিক, এবিপিতকমা, কলকাতা ৫ই আগস্ট ২০১৯ : আসন্ন ৭২ তম স্বাধীনতা (১৫ আগস্ট, ২০১৯) দিবসের প্রাককালে, এবছরের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই রেড রোড, কলকাতায় ভোর ৬ টা থেকে শুরু হয়ে গেছে। সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় থাকবেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর স্বাধীনতা দিবসের দিন নিজস্ব আঙ্গিকে সেরা ও বর্ণময় অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী, তাদের দেশের জন্য বলিদানকে সম্মান জানাবেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি চলছে । বিশেষত কিছুদিন আগেই বহুল প্রচলিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের “সবুজ সাথী প্রকল্প”-এর জন্য বিশ্বসেরা পুরস্কার সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের ডব্লিউ এস আই এস (ওয়ার্ল্ড সামিট ওন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি)-এর বিশেষ আমন্ত্রণে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সঞ্জয় কুমার থারে (বর্তমানে, ওএসডি ইন দ্য রাঙ্ক অফ প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি) এবং পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম মান্না হাতে তুলে নেন।

পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার বৈঠকে ঘোষণা করেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম” কাজের নিরিখে সমগ্র ভারতবর্ষে প্রথম স্থানে রয়েছে। দপ্তরের মিনিস্টার-ইন-চার্জ রাজীব বন্দোপাধ্যায়। সুতরাং “সবুজ সাথী প্রকল্প”-এর বিপুল সফলতার পর এবারের পশ্চিমবঙ্গের “অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর” আগামী স্বাধীনতা দিবসের দিন “সবুজ সাথী প্রকল্প”- সবুজ সাথী-র সাইকেল, ট্যাবলো ও প্ল্যাকর্ড-এর মাধ্যমে উপস্থাপন করবে। ২ টি জেলার স্কুল থেকে ২৫ জন ছাত্র ও ২৫ জন ছাত্রীকে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাত ধরেই যাতে আমাদের রাজ্য আরো এগিয়ে যেতে পারে ও প্রত্যন্ত যে সমস্ত জায়গায় মাইলের পর মাইল পড়াশোনার জন্য হেঁটে যেতে হয়, সেখানে পড়ুয়াদের কাছে এই সাইকেল তাদের পড়াশোনার চলার পথের অনেক বাঁধা-কে টপকে ছেলে-মেয়েদের সামনের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এগিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই প্রকল্প-এর ৭২ লক্ষ সাইকেল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশ ছেলে-মেয়েদের প্রশিক্ষণ-এর দায়িত্বে আছেন। এছাড়া অন্যান্য দপ্তরের প্রস্তুতিও জোরকদমে চলছেই বলা যায়। অন্যান্য বারের মতো চমক তো থাকবেই তবে এবারে আরো বেশি কিছু চমকের আশা রাখলে ভুল হবে না । যদিও তা এখনই জানানোর বিষয় নয়, ক্রমশ প্রকাশ্য। “অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর”-এর পক্ষ থেকে এই সুন্দর নিখুঁত পরিবেশনার আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছেন সত্যব্রত হালদার (ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, প্রধান কার্যালয়) ও জয়ন্ত দাস। যে কোনো ভালো কাজ উপস্থাপনের পর দর্শকদের কাছে যে করতালি শোনা যায়, মুখে হাসি লক্ষ্যণীয় হয়,তার নেপথ্যে কিছু মানুষ আছেন যারা ক্রমাগত, অনবরত পিছন থেকে ছায়ার মতো কাজ করে যান আর তারা না থাকলে উপস্থাপনার সঠিক আমেজ উপভোগও করা যায় না। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা নেপথ্যের ভূমিকাতেই থেকে যান। এখন অপেক্ষা ১৫ আগস্ট সকালের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *