‘মহাকাশ বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের জন্য অজস্র সুযোগ রয়েছে।’ জেআইএস-র ‘স্বাগতম’ অনুষ্ঠানে বললেন অধ্যাপক সুপ্রিয় চক্রবর্তী
প্রতি বছর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গতানুগতিক শাখায় অনেক পড়ুয়া ভর্তি হন। সে কারণে সেখানে যেন সুযোগ কিছুটা কমে আসছে। আর তাই বিশেষজ্ঞ, শিক্ষকেরা অন্য শাখার দিকে যাওয়ার দিকে জোর দিচ্ছেন। যেমন বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি। চন্দ্রায়ন–২–এর পরে আশা করা যায় মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ তৈরি হবে। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সবার আলাপ করিয়ে দেওয়ার জন্য টানা তিন সপ্তাহের বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেআইএস গোষ্ঠীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারুলা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি)। নাম স্বাগতম ২০১৯— আগামী দিনের কান্ডারীদের সাহস দেওয়া।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী, আইআইইএসটি শিবপুর–র প্রাক্তন অধিকর্তা এবং প্রাক্তন BESU এবং প্রাক্তন অধ্যাপক আইআইটি, খড়গপুর –র অজয়কুমার রায়। নতুন প্রযুক্তি শেখা কেন দরকার, জানালেন বিশিষ্ট এই অধ্যাপক। অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে ৩১ জুলাই থেকে। চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় হাজার জন অভিভাবক, পড়ুয়া।জেআইএস গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সর্দার তরণজিৎ সিং বলেন, ‘আমাদের পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের আলাপচারিতার সুযোগ করে দেওয়ায় তাঁরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি কোন দিকে এগোচ্ছে।’ এনআইটি–র অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম আর কাঞ্জিলাল বলেন, ‘মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করতে গেলে কম্পিউটার সায়েন্স,পদার্থবিদ্যা, অয়্যারলেস কমিউনিকেশনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আরও জানতে হবে।’
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে বক্তৃতা পেশ করেন ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের লোয়েল সেন্টার ফর স্পেস অ্যান্ড টেকনোলজির অধিকর্তা অধ্যাপক সুপ্রিয় চক্রবর্তী। তিনি মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে পড়ুয়াদের অনেক নতুন কথাই জানালেন। তিনি বলেন, ‘মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে নিত্যনতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভারত ইতিমধ্যে অনেকগুলির সঙ্গে যুক্ত। আবার অনেককে সাহায্যও করছে। তবে দুঃখের কথা হল পড়ুয়া এবং তরুণদের হাতেকলমে শেখার জন্য সুযোগ বিশেষ নেই। সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মহাকাশ বিজ্ঞান শিক্ষার আরও সুযোগ তৈরি করতে পারে। এর ভাল সম্ভাবনা রয়েছে। আমি তাদের কোনও সাহায্য করতে পারলে খুব খুশি হব। এর ফলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখার পড়ুয়ারাও উপকৃত হবে। কৃত্রিম উপগ্রহ বা মহাকাশে পাঠানো হয় এমন বস্তু তৈরি, পাঠানোর কাজে সাহায্য করা যাবে। ভারত সবচেয়ে বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর কাজে বিশেষ কৃতিত্বের কাজ করেছে। মহাকাশ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় পড়ুয়াদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে।’
তৃতীয় দিনে বক্তা ছিলেন এআইসিটিই–এর প্রাক্তন অধিকর্তা অধ্যাপক মনপ্রীত সিং মান্না। প্রচারে : গ্রে ম্যাটার্স।