রাজপুর সোনারপুর পৌরসভায় স্বাধীনতার এক অন্য রূপ দেখছে রবীন্দ্রনাথ-বিবেকানন্দ-নেতাজি
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৫ই আগস্ট ২০১৯ : ভারত স্বাধীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু ভারতের মানুষের কি সেই স্বাধীনতা এসেছে? উপযুক্ত সম্মান কি পেয়েছে ভারতের মানুষ? উপযুক্ত পরিষেবা কি পেয়েছে ভারতের মানুষ? হয়তো না। স্বাধীনতার মধ্যরাতে হঠাৎ যেভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসে তাতে বাংলার কোথায় কতটা ক্ষতি বা মানুষের অসুবিধা হয়েছে তা জানা নেই তবে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মানুষ যে তাদের স্বাধীনতা হারিয়েছে তা বোঝা গেছে। গোটা ৬ নং ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কোনভাবে চিন্তিত নয় এই ওয়ার্ডের তৃণমূল পৌরমাতা দীপালি নস্কর। যদিও তিনি কখনই ওয়ার্ডের উন্নয়ন নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন না, আগামীদিনেও থাকবেন বলে মনে হয় না। ওয়ার্ডে হাইড্রেন হয়েছে ঠিকই কিন্তু তা পরিকল্পনা মাফিক হয় নি বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। হাসপাতালের গলি থেকে নফর চন্দ্রের গলি জলমগ্ন হয়ে আছে, এছাড়া তো ওয়ার্ডের অন্যান্য গলির কথা বাদ দিলে ভাল হয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে কোথায় পৌরমাতা? তার কোন হদিশ নেই ওয়ার্ডের মানুষের কাছে। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্ড সভাপতি শ্রীমন্ত নস্কর নিজের উদ্যোগে পাম্প লাগানোর ব্যবস্থা করেন।হাইড্রেনের পিট খুলে সেই জল পাম্পের মারফৎ খালে ফেলার ব্যবস্থা করেন। ওয়ার্ডের মানুষ বলছেন ২০২০ সালে পুরভোট আসছে তাই পুরসভা অফিসে পুরমাতাকে হঠাৎই বসতে দেখা যাচ্ছে।আবার এদিকে ওদিকে সুপারিশ করে টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে তো! না হলে তো অন্যদিকে বিজেপির দরজা খোলা আছে। ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে আগামী পুর নির্বাচনের আগে দীপালি নস্কর ও তাঁর স্বামী (ওয়ার্ড সম্পাদক) বিজেপিতে যাওয়ার রাস্তা খুঁজছেন কারণ শোভন চ্যাটার্জি বিজেপিতে যোগ দিয়েছে আর শোভন ঘনিষ্ট সোনারপুর দক্ষিণের এক নেতা ও তাঁর বোন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। একা তো কেউ যাবে না, সাথে কয়েকজনকে নিয়ে গেলে দলে জায়গা পোক্ত হবে। এই ওয়ার্ডের স্বাধীনতা জলে ভেসে গেল।
সোনারপুরে ঢালাই ব্রিজের পর বাইপাসের বাম ধারে এক খেলার মাঠে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয়।কিন্তু সেই মাঠের চেহারা দেখলে চোখে জল আসবে। মাঠে এক হাঁটু জল আর তারই মধ্যে চলছে টুর্ণামেন্ট। একি স্বাধীনতা? এই স্বাধীনতা কি চেয়েছিলেন আমাদের বীর সন্তান নেতাজি? কিন্তু পরিস্থিতি যাই হোক তাকে মেনেই মনের আনন্দে টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ করে খেলছে স্থানীয় যুবকেরা। মাঠের পিছন থেকে রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি ও বিবেকানন্দ নিজেরাই সন্দেহ প্রকাশ করছেন এটা কি মাঠে ফুটবল না ওয়াটার পোলো দেখছেন।