রাজনীতি

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ‘অঞ্চলে এক দিন’ কর্মসূচি একতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিয়ে শুরু হলো

অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা নিউজ, সোনারপুর, ১২ই জানুয়ারি ২০২৩ : দিদির সুরক্ষা কবচ প্রকল্পের অধীনে অঞ্চলে এক দিন কর্মসূচিটি আজ দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একতা ও অসাম্প্রদায়িকতার বার্তা পাঠিয়ে শুরু হলো। জনসাধারণ তাদের নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানায় এবং তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটানোর পাশাপাশি তাদের চাহিদা এবং উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করার সুযোগটি কাজে লাগায়।

আজ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক – পান্নালাল হালদার, বিভাস সর্দার, ফিরদৌসি বেগম, অরুন্ধুতি (লাভলি) মৈত্র, অলোক জলদাতা, বিশ্বনাথ দাস, গণেশ চন্দ্র মণ্ডল, জয়দেব হালদার এবং নমিতা সাহা কর্মসূচিটি শুরু করেছিলেন। নেতারা যথাক্রমে হরিণডাঙ্গা, বেগমপুর, খেদা-২, লাঙ্গলবেড়িয়া, রাধাকান্তপুর, বারাসত, বৈশাটা, গাবেরিয়া এবং ধামুয়া উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতে দিন কাটান। এছাড়াও, জেলা সভাপতি শুভাশীষ চক্রবর্তী ভাঙ্গর বিধানসভা কেন্দ্রের ভাঙ্গর-২ ব্লকের অন্তর্গত ব্যাঁওতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে জনগণের সঙ্গে একটি দিন কাটান।

মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐক্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আদর্শকে মেনে চলে, কুলতলির বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মণ্ডল আজ স্থানীয় মন্দিরের পাশাপাশি বৈশাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি মসজিদে প্রার্থনা করেন অন্যদিকে বিধায়িকা ফিরদৌসী বেগম খেয়াদা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি মন্দিরে পূজা দেন। অন্যান্য নেতারাও স্থানীয় মন্দিরগুলিতে তাদের প্রার্থনা করেছেন এবং স্থানীয়ভাবে আয়োজিত স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানগুলিতেও অংশ নিয়েছেন, এর পরে তারা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং স্কুল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মতো সরকার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শন করেন।

বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম তার মন্দির পরিদর্শন সম্পর্কে বলেন, “অসাম্প্রদায়িকতা ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এবং আমাদের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা আমাদের সেই পথেই পরিচালিত করেছেন।” একই কথা প্ৰতিধ্বনিত হয় বিধায়ক গণেশ চন্দ্র মন্ডলের কথায়, “আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে একজনই সর্বশক্তিমান ; আমরা তাকে বিভিন্ন রূপে পুজো করি। এটিই আমাদের দেশের মূল্যবোধ, যা নিয়ে আমাদের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেন।”

অন্যদিকে, রাজ্যসভার সাংসদ এবং জেলা সভাপতি শুভাশীষ চক্রবর্তী বলেন,“আমরা বিরোধীদের বলতে চাই যে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস শুধু নির্বাচনের আগেই কোনও কর্মসূচি ঠিক করেনা। এটি আমাদের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি প্রচেষ্টা, যিনি বিশ্বাস করেন যে শুধু সরকার গড়ার জন্য নয়, তার দল বাংলার জনগণকে সবসময় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দিদির সুরক্ষা কবচের অধীনে এই কর্মসূচিটি এমন একটি প্রয়াস যা নির্বাচন ছাড়াও অব্যাহত রাখা হবে।”

বেশ কয়েকটি জায়গায় বিধায়করা জনগণের উদ্বেগ ও প্রয়োজনের কথা শুনেছেন এবং যে কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি তারা এখনও লাভ করতে পারেননি সেগুলি তারা পাবেন এই আশ্বাস দিয়েছেন।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার এই প্রত্যন্ত স্থানে বিধায়ক এবং নেতাদের দ্বারা প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে এই বার্তা পাঠায় যে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তাদের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দক্ষ নির্দেশনায় জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করে মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *