খেয়াদহে অরন্ধন উৎসবের মঞ্চ থেকে জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী ২০২১ সালে সোনারপুর উত্তরে বিধায়ক ফিরদৌসীকে জেতানোর ডাক দিলেন
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২০ : সামনে ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আর তার সাথেই গোটা রাজ্যে পৌরসভা নির্বাচন। এবছর করোনার কারণে রাজ্যের পৌরসভা নির্বাচন করা যায় নি। তবে বিহার নির্বাচনের পর হয়তো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে রাজ্যের পৌরসভা নির্বাচন করা যাবে কিনা। কিন্তু তৃণমূল দল এবছর থেকেই ২০২১ সালকে সামনে রেখে নির্বাচনের কৌশল শুরু করে দিয়েছে কারণ তাঁরা মনে করছে ২০২১ সালে তাঁদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। আর তাই বিজেপিকে রুখতে মরিয়া তৃণমূল। ইতিমধ্যে গোটা রাজ্যে বিজেপি বিরোধী হাওয়া তুলেছে তৃণমূল। বিজেপি শিবিরও ভেঙে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল দল। বিজেপিও যে হাত গুটিয়ে বসে আছে তা কিন্তু নয়। তারাও তলে তলে তৃণমূল শিবির ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এমনও অনেকে মনে করছে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদেরও ভাঙাতে চলেছে বিজেপি।
তাতে কিছুই আসে যায় না সোনারপুর উত্তর বিধানসভায়। এখানে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। যদিও পৌরসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটা ওয়ার্ড হাতছাড়া হতে পারে এমন আশঙ্কা করছে তৃণমূল শিবির। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১৭টা ওয়ার্ড আছে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত কিন্তু তার মধ্যে ৭টা ওয়ার্ড হাতছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক খেয়াদহে অরন্ধন উৎসবে উপস্থিত হয়ে প্রায় ২০০০ মানুষের সামনে দঃ ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বর্তমান বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকি কারণ এই অনুষ্ঠানে একটা অন্য রকমের অনুভূতি। প্রতিবছর প্রবীর এই অনুষ্ঠান করে, মানুষের পাশে থাকে। এবছর প্রবীর পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্ব নেওয়ার পর এই অনুষ্ঠান। প্রবীরের ডাকে না এসে থাকতে পারি না।তবে একটা কথা বলবো এই বিধানসভার ঘরের মেয়ে ফিরদৌসী, কাজের মেয়ে।ফিরদৌসীর সব থেকে যেটা আমার ভাল লাগে তা হল দলের সব কর্মসূচীকে কার্যকর করে। এছাড়া নিজে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সব জাতির অনুষ্ঠানে নিষ্ঠার সাথে নিজেকে সামিল রাখে। সব অনুষ্ঠানে সময় থাকতে উপস্থিত হয়। সবসময় মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা রাখে আর সব থেকে বড় হল মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে।
আমি আজ এই মঞ্চ থেকে সকলকে একটা কথাই বলবো আগামী নির্বাচনে এই ঘরের মেয়েকে তৃতীয়বারের জন্য জিতিয়ে আনার দায়িত্ব আপনাদের সকলের। প্রথমবারের থেকে দ্বিতীয়বারের জয়ের ব্যবধান বেড়েছে এবার তার থেকেও বাড়াতে হবে। আমি গতবার বলেছিলাম ৩০ হাজার ভোটের নীচে জয়ী হলে আমি এই বিধানসভায় আর আসবো না, মানুষ আমার মুখরক্ষা করেছে। তাই এবারও সেই একই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মানুষের কাছে অনুরোধ করবো উন্নয়নের নিরিখে আবার ফিরদৌসী বেগমকে বড় মার্জিনে জয়ী করবে এই বিধানসভার মানুষ। করোনা থেকে আমফান পরিস্থিতি সবটাই খুব দক্ষতার সাথে সামলেছে ফিরদৌসী বেগম। মানুষ তা ভুলে যাবে না, তাঁর সাথে মানুষের আশির্বাদ থাকবেই।