হাতে হাত রেখে মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করে মানুষের পাশে থাকুন, ফের একবার মঞ্চ থেকে সোনারপুর উত্তর থেকে ফিরদৌসীকে ২০২১ সালে জয়ের ডাক দিলেন শুভাশিস চক্রবর্তী
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২০ : যত সম্ভাব্য নির্বাচনের সময় এগোচ্ছে তত সংগঠনকে চাঙ্গা করতে গোটা রাজ্যে সকলে লেগে পড়েছে। তৃণমূল দলের কাছে বর্তমানে বিপক্ষ দল বলতে বিজেপি, আর সেই বিজেপিকে কোণঠাসা করতে গোটা তৃণমূল দল এখন নেমে পড়েছে মাঠে।
সাম্প্রতিক সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় জয়হিন্দ প্রেক্ষাগৃহে বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের উদ্যোগে সেলফ হেল্প গ্রুপ অর্থাৎ স্ব-নির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সাথে আলোচনা সভার আয়োজন হয়। এদিন প্রেক্ষাগৃহে প্রায় ১২০০ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা উপস্থিত ছিলেন।এদিন আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর সরকার, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর অশোকা মৃধা, ২৮ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর নমিতা দাস, নিতু দাস, দীপা ঘোষ, সঞ্জিত চ্যাটার্জি, অভ্র মুখার্জি সহ পৌরসভার আধিকারিকেরা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য নজরুল আলি মন্ডল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পাপাই দত্ত, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সমরজিত ব্যানার্জি, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি বিশ্বজিত দাস (নন্দ), প্রদীপ চক্রবর্তী, দেবাশিস দাশ সহ অনেকে।
সভার মূল বক্তা ছিলেন জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যে একমাত্র বিপক্ষ দল বিজেপি। এই বিজেপি যেভাবে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তা মানুষ বুঝে গেছে। সোনারপুর উত্তরে যেভাবে আমার সহযোদ্ধা নজরুল আলি মন্ডল সংগঠনকে মজবুত করছে তা প্রশংসা করতেই হয়।সোনারপুরের ঘরের মেয়ে ফিরদৌসী বেগম সব সময় আপনাদের পাশে আছে ও থাকবে। সোনারপুরের মানুষের পাশে সব বিপদে ফিরদৌসীকে পাওয়া যায় যা করোনা মহামারি ও আমফান দুর্জোগে প্রমাণ হয়েছে। আমি এই মঞ্চ থেকে ফের একবার বলবো ২০২১ সালে এই বিধানসভা থেকে ফিরদৌসী বেগমকে জয়ী করতেই হবে। আগের নির্বাচনের থেকে আরও বেশি ব্যবধানে জয়ী করতে হবে। না হলে আমি আর কোন সভায় উপস্থিত হবো না।
শুভাশিস চক্রবর্তী আরও বলেন, তৃণমূল দলের সকলের উপর অভিমান করা যায়, সকলের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করা যায় কিন্তু কখনও কারো জন্য মমতা ব্যানার্জির উপর অভিমান করবেন না। রাজ্যের একজন মানুষ যে গোটা রাত ঘুমোতে পারে না, বহু বছর আগে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়েছিল সেই মাথার যন্ত্রণার কারণে তিনি প্রতিরাত না ঘুমিয়ে জেগে থাকেন। জেগে তিনি মানুষের কথা ভাবেন, মানুষের সুরক্ষার কথা চিন্তা করেন। স্বাধীনতার পর থেকে এমন কোন মুখ্যমন্ত্রীকে চিন্তা করতে দেখা যায় নি। সারারাত না ঘুমিয়ে তিনি মানুষের সুরক্ষার জন্য প্রকল্পের কথা চিন্তা করেন আর তার প্রতিফলন রাজ্যের সকল মানুষের জন্য তাঁর একটা একটা ভিন্ন প্রকল্পের ঘোষণা।সব থেকে মনে জায়গা করে নিয়েছে “মানবিক” প্রকল্প যার কোন বিকল্প নেই।রাজ্যে এরকম বহু অসহায় মানুষ আছে যারা এই প্রকল্পের আওতায় আসার পর নিজেদের সুরক্ষিত অনুভব করছেন। তাঁরা তাঁদের নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে উৎসাহ দিতে সমাজে কাউকে পাওয়া যায় না কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে পাওয়া গেছে। আজ গোটা বিশ্বে মমতা ব্যানার্জির দুটো প্রকল্প উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে, এটা আমাদের বাঙালীদের গর্ব।
ফিরদৌসী বেগম জানান, রাজ্যে সরকার এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মহিলাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছেন। এবার ফের মুখ্যমন্ত্রী আরও এধরনের গোষ্ঠী তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। মহিলারাই সমাজের চালক, আর মহিলারা যদি পিছিয়ে থাকে সেখানে সমাজ এগোতে পারে না। সর্বত্র মহিলাদের সহযোগিতা ও সম্মান করা প্রয়োজন। আমি প্রতিটা ওয়ার্ডে আরও স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির উপর নজর দিতে বলবো। শুভাশিস চক্রবর্তী ও ফিরদৌসী বেগমের বক্তব্যে উপস্থিত মহিলা গোষ্ঠীর সদস্যরা উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত হয়।