রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের তৃনমূল যুব-র সাজানো গোষ্ঠীকন্দল প্রচার এক বৈদ্যুতিন চ্যানেল
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২০ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে বহুদিন ধরে তৃনমূল যুব কংগ্রেস ও এই ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরমাতা তথা বর্তমানের কোঅর্ডিনেটর অশোকা মৃধার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। সেই ঠান্ডা লড়াই ক্রমেই পাল্লা ভারির লড়াই-এ চলে যায়। এই ওয়ার্ডের তৃনমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল সরদার পদে পদে পৌরমাতা অশোকা মৃধাকে উন্নয়নের কাজে হেনস্থা করতে থাকেন। কিন্তু অশোকা মৃধা তাঁর উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী ঘটনাকে সেভাবে আমোল না দিয়ে উন্নয়নের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
এর আগেও রেশন কার্ডের ফর্ম ভর্তি নিয়েও বাধা সৃষ্টি করে। ওয়ার্ডে কেউ কেউ আবার নিজেরাই প্রচার করেছেন যে দলের কোন এক সূত্র থেকে আগামী পৌর নির্বাচনের টিকিট নিশ্চিত হয়ে গেছে। আমার প্রশ্ন কোন প্রার্থীর টিকিট দলে কে ঠিক করেন? কোন নেতা না খোদ দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি? কার উস্কানিতে নিজেদের নিশ্চিত প্রার্থী হিসাবে প্রচার করছেন? এরপর সামনে এল “দুয়ারে সরকার”, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও সোনারপুর উত্তরের নেতৃত্ব নজরুল আলি মন্ডল প্রতি ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর ও বিধায়ক প্রতিনিধিদের নিজেদের মধ্যে সংযোগ রেখে প্রচার শুরু করতে নির্দেশ দেন। এখানেও বাঁধে গোলযোগ, কোঅর্ডিনেটর অশোকা মৃধা শিবতলা এলাকায় দুয়ারে সরকার নিয়ে প্রচার করেন। সেখানে মানুষকে দিয়ে তিনি স্বাস্থ্যসাথীর ফর্ম ভর্তির কাজ করান। তাঁকে দেখাদেখি পরের দিন কোঅর্ডিনেটরের কর্মসূচি থাকা অবস্থায় অশোকার বাড়ির সামনে কোন আলোচনা না করেই শিবির করতে চলে আসে শ্যামল সরদার ও তাঁর হাতে গোনা কয়েকজন অনুগামী। এখানে এসে ক্যাম্প করতে এলে অশোকার সাথে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। কিন্তু তা কিন্তু কোন গোষ্ঠীকন্দলই না, শুধুমাত্র রেষারেষি। অশোকাকে মানুষের সামনে প্রচারের আলোয় রাখা যাবে না। কিন্তু তা সম্ভব কিভাবে? অশোকা মৃধা ১০ বছরের পৌরমাতা, তাছাড়া দুবার নির্বাচন সময়সীমার পর হওয়ার কারণে আরও দুবছর যোগ হয়ে তা ১২ বছর। আর তাঁর প্রচারের আলো কি প্রয়োজন? মানুষ তো তাঁকে খুব ভাল করেই চেনে যে তিনি এতবছরের পৌরমাতা। মানুষ তাঁর কাছে গিয়েই সরকারি ও পৌরসভার পরিষেবা পেয়ে এসেছেন।এমন সময় শ্যামলের এক অনুরাগী ফেসবুক লাইভ করে সেই উত্তেজনা মুহুর্ত প্রচার শুরু করলে অশোকা মৃধা নিষেধ করলে তারা কর্ণপাত করে নি। এতকিছু করার পর তারা সেখান থেকে ক্যাম্প না করেই চলে যেতে বাধ্য হয়। এরপর কি করা? এক বৈদুতিন চ্যানেলকে ধরে সেই ভিডিও প্রচার করে সংবাদ পরিবেশন করিয়ে এটা সাব্যস্ত করতে চায় অশোকা মৃধা যুব তৃনমূল কংগ্রেস কর্মীদের সাথে সহযোগিতা না করে বরং মারধর করে। যদিও এই প্রচার করা গোষ্ঠী খেয়াল করেন নি ওই বৈদ্যুতিন চ্যানেল একটা কথা বলেছে “……… চ্যানেল ঘটনার সত্যতা যাচাই করে নি”। মানে কি দাঁড়ালো? চ্যানেল তার দায় থেকে মুক্ত হয়ে গেল, খবরটাও হল।
এদিকে মানুষ কি বলছে শুনুন। ওয়ার্ডের অনেকে বলছেন, তৃনমূল যুব কংগ্রেসের কিছু কর্মী অশোকাকে হারাতে বিজেপিকে তলায় তলায় সাহায্য করছে। অনেকে এর মধ্যে টাকার গন্ধও খুজে পাচ্ছেন। এমনও হতে পারে নিজেরা তৃনমূলকে সামনে রেখে আঁতাত করছে বিজেপি-র সাথে। এই ছদ্মবেশীদের চিহ্নিত করছে দল।যিনি বলছেন তৃনমূলের টিকিটে প্রার্থী হবেন, তিনি প্রার্থী হলে বিজেপিকে এই ওয়ার্ড ওয়াকওভার দিতে হবে এমনও মনে করছেন ওয়ার্ডের অনেকে।