রাজনীতি

গড়িয়ায় বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও পৌর প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় গড়িয়ায় উৎসাহী মানুষের উপস্থিতি “দুয়ারে সরকার” শিবিরে

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১১ই ডিসেম্বর ২০২০ : ঠিক বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কর্মসূচি “দুয়ারে সরকার” একেবারে স্বার্থক করে দিল গড়িয়ায় উৎসাহী মানুষ। সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল “দুয়ারে সরকার” কিন্তু সকাল ৭টা থেকে মানুষ লাইন দেওয়া শুরু করে এবং সেই লাইন ধীরে ধীরে লম্বা হতেই থাকে। লাইনে অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন পত্র নিয়ে লাইনে ছিলেন। এছাড়া শিবিরে স্টল ছিল কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, খাদ্যসাথী, কাস্ট সার্টিফিকেট সহ আরও প্রকল্পের। এদিন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং থেকে ৭ নং ওয়ার্ডের দুয়ারে সরকার।

দুয়ারে সরকার শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরমাতা পাপিয়া হালদার, ৩ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা অশোকা মৃধা, ৪ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা ও বর্তমানের প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য বিভাস মুখার্জি, ৫ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা তরুণ কান্তি মন্ডল সহ সোনারপুর উত্তরের তৃনমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি পাপাই দত্ত, গড়িয়া টাউন আইএনটিটিইউসি আহ্বায়ক পিন্টু দেবনাথ, ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি শ্রীমন্ত নস্কর, গড়িয়া টাউন জয়হিন্দ বাহিনী সভাপতি অরিন্দম দত্ত, মানু মন্ডল, জয়ন্ত সেনগুপ্ত সহ অনেকে।

বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম সকল আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট স্টলে যেতে সাহায্য করেন। তিনি বক্তব্যে বলেন, যারা এদিন স্বাস্থ্যসাথীর ফর্ম জমা করতে পারবেন না তারা যেন কখনই না ভাবেন যে তাদের স্বাস্থ্যসাথী হবে না। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত আরও তিনবার এই শিবির হবে, সেখানেও করা যাবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মানুষের স্বার্থে এই অভাবনীয় কর্মসূচি নিয়েছেন যাতে সাধারণ মানুষকে সরকারি দপ্তরে টেবিলে টেবিলে না ঘুরতে হয়। তাই তিনি সরকারি দপ্তরের আধিকারিকদের সরাসরি মানুষের দরজায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন যাতে সকলে সরকারি সুযোগ ও সুবিধা পায়।

বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম শিবিরের সব স্টল ঘুরে পরিদর্শন করেন, কথা বলেন স্টলে সরকারি কর্মীদের সাথে। মানুষের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেব্যাপারেও তিনি নজর রেখে কথা বলেন শিবিরে উপস্থিত বাস্তুকার রবীন্দ্রনাথ রায় ও শুভাশিস বসু-র সাথে।তিনি মাইকে বারবার করে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন যেন কেউ ধৈর্য্য না হারান, সকলে সুযোগ পাবেন নিজের ফর্ম জমা দেওয়ার।তবে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়ানোর জন্য তিনি দুঃক্ষ প্রকাশও করেন।এই শিবিরে চোখে পড়ে নি ২নং ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরপিতা অমরেশ সরদার ও ৬ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা দিপালী নস্কর।

নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে ভিডিও দেখুন আর শুনুন দুয়ারে সরকার নিয়ে কে কে কি বললেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *