গড়িয়া স্টেশন চত্বরে সোনারপুরের ২ নং ওয়ার্ডে দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে রাতভোর ব্যাপক বোমাবাজি
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২২শে মার্চ ২০২০ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড নিয়ে বেশ চিন্তায় সোনারপুর উত্তর বিধানসভার নেতৃত্ব।এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের দখল দিনদিন কমে আসছে বেশ ভালোই বুঝতে পারছে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার নেতৃত্ব থেকে বিধায়ক। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের হারের কারণ তৃণমূল নিজেই। সেখান থেকে ওয়ার্ডকে নিজেদের দখলে আনতে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার নেতৃত্ব তথা বিধায়ক সুদূর মুম্বাই থেকে উড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রীকে সাথে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। শুধুমাত্র একটা ওয়ার্ডে তাঁরা দুজনে সভা করে গিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তীর পক্ষে ভোট দেওয়ার আর্জি নিয়ে। কিন্তু এই ওয়ার্ডে মানুষ একেবারে তিতেবিরক্ত হয়ে গিয়েছে আর তার প্রভাব পড়েছে ভোট মেশিনে।ভাগ্যশ্রীকে এনেও ওয়ার্ডের ভাগ্য তৃণমূলের দিকে ফেরাতে পারে নি নেতৃত্ব।তাতেও ওয়ার্ডের নেতৃত্বের কোন বিকার চোখে পড়ে নি। এই ওয়ার্ডে যেমন চলছে মদের ব্যবসা ঠিক এই ভাবে রমরমিয়ে চলছে গাঁজার ব্যবসা। মানুষ প্রকাশ্যে এই নেশার দ্রব্য বিক্রিকে ভাল চোখে দেখছে না।
আজ সন্ধ্যা থেকে খালের ধারের দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুই পক্ষ। একপক্ষ দোকান খোলার পক্ষে আর অন্য পক্ষ দোকান না খুলতে দেওয়ার পক্ষে বলে শোনা যায়। গতকাল রাত থেকেই এই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। ঢালুয়া ও কালিতলার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। তার রেস শুরু হিল আজ সন্ধ্যায়। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ব্যপক বোমাবাজি চলে রাতভোর। মাঝে পুলিশ এসে স্থানীয় কিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলে তাদের বাড়ির মহিলারা জানা যায় স্থানীয় পৌরপিতার কাছে গেলে তিনি প্রকাশ্যে আসেন নি। অবশেষে তাঁরা বাড়ি ফিরে যায় বলে খবর।
পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে এই ওয়ার্ড এবার তৃণমূলের দখলে রাখা খুবই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। এবার মানুষের ক্ষোভ ব্যাপক আকারে ফেটে পড়বে ব্যালট মেশিনে।স্থানীয় মানুষ জানায় বর্তমানে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলেও মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত হয়। আর এই অন্ধকার করে অশান্তি চলে এলাকায়। পুলিশকে খবর দিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না।সোনারপুর এলাকার দুই নেতৃত্ব পুলিশকে খবর দিলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। মানুষ বর্তমানে করোনার আতঙ্কের থেকে বড় আতঙ্কে বাস করছে এই ওয়ার্ডে। আগামী পৌর নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এই কারণে অন্য কোন ওয়ার্ডে থেকেও কোন প্রার্থীকে এনে এই ওয়ার্ডে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা বিফলে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি কারণ এই ওয়ার্ডে অন্য ওয়ার্ডের কেউই প্রার্থী হতে চাইছে না। গড়িয়ার প্রায় সকলেই বুঝে গেছে এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হলে পরাজয়কে মাথায় নিয়েই প্রার্থী হতে হবে। তাই কেউ রাজি হচ্ছে না এই ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে।