পুরসভা নির্বাচনের আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় পিকে-র দাওয়াই বিধায়কদের ১০০ দিনে ১০ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি করতে হবে
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৪ঠা জানুয়ারি ২০২০ : শুক্রবার প্রশান্ত কিশোরের কার্যালয়ে বসেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার সব বিধায়ক ও যুব নেতৃত্বদের নিয়ে পুরভোট নির্বাচনের আগে বিশ্লেষণ করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সর্ব ভারতীয় যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি এবং প্রশান্ত কিশোর। এছাড়া এই বিশ্লেষণ সভায় ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার সকল বিধায়ক এবং জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকার নেতৃত্বরা। সভায় প্রশান্ত কিশোরের দল ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা নিয়ে সমীক্ষা করে তার রিপোর্ট জমা দিয়ে দিয়েছে।
আর তার উপর ভিত্তি করে এই সভায় অলোচনা হয়।লোকসভা নির্বাচন অনুযায়ী দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় তিনটে বিধানসভায় ভোটের হার কমেছে যার মধ্যে রয়েছে বারুইপুর পূর্ব, সোনারপুর উত্তর ও সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা। বারুইপুর পূর্বে ভোট কমেছে ২ শতাংশ, সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় ভোট কমেছে ৪শতাংশ এবং সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভায় সব থেকে মারাত্বকভাবে ভোট কমেছে ৭ শতাংশ। প্রশান্ত কিশোরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী গত নির্বাচনে নতুন ভোটার বেড়েছে ৫ শতাংশ কিন্তু সেই হারে লোকসভা নির্বাচনে ভোটের শতাংশ বাড়ে নি।সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভায় গত নির্বাচনে ৪৮শতাংশের থেকে কমে হয়েছে ৪১ শতাংশ এবং সোনারপুর উত্তরে ভোটের হার কমেছে ৫০ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশ। এই বিশ্লেষনের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনে যে দাওয়াই দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে আগামী ১০০ দিনে তিনটে বিধায়ককে ১০ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু এখানেই শেষ নয়, আগামী ১২ই জানুয়ারির মধ্যে “দিদিকে বলো”-র ১০টা কর্মসূচীর বাকি থাকা কর্মসূচী শেষ করতে হবে।
এরসাথে এমনও বলা হয়েছে ভোট কমার কারণ কখনই হিন্দু মুসলিম ভোট বিভাজন নয়, এটা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে কারণ দক্ষিণ ২৪ পরগণার মোট ভোটের ৫০ শতাংশের মধ্যে ২৭ শতাংশ মুসলিম ভোট হলে বাকি ২৩ শতাংশ হিন্দু ভোট দিয়েছে। শুতরাং ভোটের শতাংশ হিসাবে হিন্দু ও মুসলিম ভোটের কোন প্রভাব পড়ে নি। এই কর্মসূচী ঠিকঠাক পালনের পর প্রতি ১৫দিন অন্তর প্রতিটা বিধানসভায় রিভিউ সভা করতে হবে। এই রিভিউ সভা জেলা সভাপতিকে দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে এবং এই সভায় পৌরসভা, পঞ্চায়েত ও তৃণমূল দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সভাপতি ও প্রতিনিধিদের নিয়ে সভায় বিধানসভার বিশ্লেষণ করা আবশ্যক বলে সিধান্ত হয়। এরসাথে “দিদিকে বলো” কর্মসূচীতে যে পাঁচজন বিশিষ্ট মানুষের বাছাই করা হচ্ছে তা সঠিক পদ্ধতিতে করতে হবে যারা সমাজের প্রকৃত বিশিষ্ট মানুষ।পুরভোটের আগে এই পদ্ধতি মানতে পারলে তার ফল নির্বাচনে পাওয়া যাবে বলে মনে করছে দল।পুরসভা নির্বাচনের আগে যুব তৃণমূল সভাপতির সতর্কতা কার্যকরি হবে বলে মনে করছেন অনেকে। ছবি – চুনী পাল।