রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীরা, চাইছেন প্রদীপকে
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৫ই মার্চ ২০২০ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২৮ নং ওয়ার্ডে গতবার ছিলেন পৌরমাতা নমিতা দাস। নমিতা দাস ওয়ার্ডের বহু উন্নয়ন করেছেন ঠিকই কিন্তু নির্বাচন আসার ঠিক আগে ২৭ নং ওয়ার্ডের যুব নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী নমিতা দাস ও তাঁর দাদা নরেন্দ্রপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোপাল দাসের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুললেন। অভিযোগের অধিকাংশ ওয়ার্ডের মধ্যে বেশ কিছু পুকুর ভরাটের এবং বে-আইনি নির্মান। এছাড়াও তিনি নরেন্দ্রপুর টাউন অঞ্চলের অবজারভার গৌতম পাইনের উপর নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে এক সভা ডাকা হয় যেখানে ওয়ার্ডের বিভিন্ন অভিযোগ শোনার কথা ছিল।তিনি অভিযোগ তোলেন সেই সভায় কর্মীদের থেকে কিছু বলতে দেওয়া হয় নি। তিনি আরও বলেন, এই সভায় ইচ্ছামত নাম প্রস্তাব করে সভা শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের কাছে যে খবর পৌঁছেছে তাতে এই ওয়ার্ডে প্রায় ১০ জন প্রার্থীর নাম উঠে এসেছে, এমনকি অনেকে নিজের নাম নিজেই প্রস্তাব করেছেন, এমনকি প্রদীপ চক্রবর্তীর নাম সেই সভায় প্রস্তাবিত হয়। তবে সভায় কাউকে বলতে দেওয়া হয় নি সেটা ভিত্তিহীন। এমনকি ইচ্ছেমত প্রার্থীর নাম লিখে সভা শেষ করে দেওয়া হয় সেটাও কোন যুক্তি রাখে না কারণ সেই সভায় ১০ জনের নাম প্রস্তাবিত হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গোপাল দাসের নামে তিনটে অভিযোগ পত্র তুলে দেন যার মধ্যে একটি ওয়ার্ডের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি মিঠুন মিত্রের, একটি ওয়ার্ডের সভাপতি অতনু গোস্বামীর এবং শেষটি ওয়ার্ডের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি দেবব্রত ঢালি-র। কিন্তু এই অভিযোগ পত্র পাওয়ার পর আমরা মিঠুন মিত্রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সরাসরি এই অভিযোগ পত্রের কথা অস্বীকার করেন। একইভাবে ছাত্র পরিষদ সভাপতি দেবব্রত ঢালিও চিঠির কথা অস্বীকার করেন। প্রদীপ চক্রবর্তী এমনও বলেন ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল সভাপতি ছাড়া নমিতা দাস ও তাঁর দাদা গোপাল দাসের পক্ষে কেউ নেই। কিন্তু মিঠুন মিত্র ও দেবব্রত ঢালি বলেন, গোপাল দাস হলে আমাদের কোন আপত্তি নেই। গোপাল দাস দীর্ঘদিনের সংগঠক। এছাড়া দল যাকে প্রার্থী করবে তাকেই মেনে নিয়ে নির্বাচনের লড়াই করবো। কিন্তু এই ওয়ার্ডের একসময়ের পৌরপিতা নীলু নস্কর গতবারও নির্দলের প্রার্থী হয়ে নমিতা দাসের বিরোধিতা করেছিলেন। এবারের নির্বাচনেও বিরোধিতা করছেন।গতবার তিনি এই নমিতা দাসের কাছে পরাজিত হন। এবার সেই নীলু নস্করের সাথে কয়েকজন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী প্রদীপ চক্রবর্তীর পক্ষ নিয়ে ফের নমিতা দাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন বলে জানা যায়।
এই অভিযোগের ব্যাপারে গোপাল দাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানান, এতগুলো পুকুর ভরাট হল আর বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম বা সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মূল সংগঠক নজরুল আলি মন্ডল জানলো না? এর আগেও প্রদীপ বিধায়কের কাছে অভিযোগ করেছেন। আমি আশা করবো বিধায়ক সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নিশ্চয়ই খোঁজ নিয়েছেন এবং তাঁর সূত্র মারফৎ খবর নিয়েছেন। কিন্তু তিনটে চিঠি তবে লিখলো কে? তিনটে চিঠির মধ্যে দুজন অস্বীকার করে, সেখানে আমরা কি বলবো। প্রদীপ চক্রবর্তী এই ওয়ার্ডের জামাই আর তাই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা তাঁর শ্বশুর বাড়ি নির্ভিরশীল বলে জানা যায়। এখন সমস্যা হল ওয়ার্ডের মানুষের নিরিখে গোপাল দাসকে চাইলেও তৃণমূলের একটা শ্রেনী প্রদীপ চক্রবর্তীকেও চাইছে আগামীদিনের পৌরপিতা হিসাবে যাদের পিছন থেকে সমর্থন করছেন প্রাক্তন পৌরপিতা নীলু নস্কর।
এব্যাপারে প্রদীপ বলেন, এটা আমার চ্যালেঞ্জ বিদায়ী পৌরমাতা নমিতা দাস ও টাউন সভাপতি গোপাল দাসের একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ চালিয়ে যাবো। যতই গোপাল দাস আমার নামে অভিযোগ দিতে পারে দিক। শুধু আমার নামে নয়, ওয়ার্ডের সভাপতি অতনু গোস্বামীর নামেও অনেক কিছু অপপ্রচার করেছে, তাতে কিছু আসে বা যায় না, প্রতিবাদ জারি থাকবে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে প্রায় ২০০০ ভোটে পরাজিত হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু সেই ওয়ার্ড থেকে মিমি চক্রবর্তী জয়ী হন। এটাতেও মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে গোপাল দাস বা নমিতা দাসের উপর ভরসা আছে। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছে বর্তমানে মহামায়াপুর এলাকায় গাঙ্গুলি প্রজেক্টের পাশে যে পুকুর আছে তা ভরাট হচ্ছে। এখন বিষয় হল গোপাল দাসকে কত সংখ্যক মানুষ চাইছেন আর কত সংখ্যক মানুষ প্রদীপ চক্রবর্তীকে চাইছেন। যদিও সেই চাওয়া পাওয়ার কথা বলতে গিয়ে প্রদীপের অভিযোগ অনুযায়ী এই গাঙ্গুলি প্রজেক্টের পাশে সব জমির মালিক গাঙ্গুলিকেই বিক্রি করেছে যারা প্রদীপ চক্রবর্তীর আত্মীয়।এবং এই জমির চরিত্র বাস্তু। একটা সময় ছিল মানুষ মাটি কেটে জমি উঁচু করেছে, সেখানে ডোবা বা পুকুর হলে জমির চরিত্র তো আর বদলায় না।এখন প্রার্থী ঘোষণা পর্যন্ত সকলকে অপেক্ষা করতে হবে।
Hello, yup this piece of writing is genuinely nice and I have learned lot of things from it regarding blogging.
thanks.