রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী একসময়ের বোড়াল টাউন তৃণমূল যুব কং সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২০ : সোনারপুর উত্তর বিধানসভা অন্তর্গত রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে থাকলেও এবার আর তৃণমূল ধরে রাখতে পারবে না বলেই ওয়ার্ডের মানুষ শুধু নয় তৃণমূল কর্মীরাও মনে করছে। বিদায়ী পৌরপিতা গৌরহরি দাসের বিরুদ্ধে এলাকায় প্রচুর ক্ষোভ। যদিও তিনি নিজেকে মাস্টারমশাই বলেন ঠিকই কিন্তু তাঁর তেমন কোন লক্ষণই চোখে পড়ে না। একটা নামমাত্র স্কুল আছে কিন্তু ছাত্র নেই। থাকবেই বা কোথা থেকে? সমাজবিরোধীদের হাতে রেখে তোলা তুলবে না শিক্ষা প্রদান করবে? এটাই হল মানুষের প্রতিক্রিয়া। উন্নয়ন বলতে সামান্য কিছু হয়েছে কিন্তু অধিকাংশ উন্নয়ন হয়েছে বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের উদ্যোগে। ৩৫ নং অঞ্চলটা খুবই প্রান্তিক মানুষের বাস আর তাই খুবই পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। গোটা ওয়ার্ডটা ঘুরলে দেখা যাবে গোষ্ঠীকোন্দল। বিধায়ক বহুবার চেষ্টা করেছেন, নিজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন কিন্তু পৌরপিতা গৌরহরি দাসের দিকে মানুষের মন ফেরাতে পারেন নি।
যার ফল দেখা গেছে গত লোকসভা নির্বাচনে। গোটা সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় একমাত্র ওয়ার্ড যেখানে বিজেপি বিপূল ভোটে জয়ী হয়েছে। এই জয় এবার বিজেপিকে বেশ চাঙ্গা করে দিয়েছে।এবার এই ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী সম্ভবত রাজেন্দ্র প্রসাদ সাউ। এই রাজেন্দ্র প্রসাদ সাউ একসময় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের এই ওয়ার্ডে যুব সভাপতি ছিলেন পরবর্তীতে তিনি বোড়াল টাউন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি হন।
কিন্তু এই মানুষটি একসময় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছিলেন “মোদী হাটাও দেশ বাঁচাও” আর আজ সেই মানুষটি সবার কাছে গিয়ে বলবেন “মোদী কো লাও, ভারত স্বচ্ছ বানাও” মানুষ কতটা মেনে নেবে ভাবার আছে।এটাও ঠিক গত লোকসভা নির্বাচনের শুরুতে যে মানুষটা তৃণমূলের হয়ে দেওয়াল লিখেছেন সেই মানুষটাই ভোটের সময় সকলকে ঘুড়িয়ে দিয়ে বিজেপিকে জয়ী করলেন। সোনারপুরের উত্তরের তৃণমূল নেতৃত্বরা এখন মরিয়া গৌরহরি দাসের পরিবর্তে ওয়ার্ডের একজন ভাল ও স্বচ্ছ মুখকে প্রার্থী করার জন্য। কিন্তু এই অঞ্চলে অধিকাংশ মানুষ অবাঙালী হওয়ার কারণে হিন্দি বলয় মানুষের সন্ধান করছে দল।এই ওয়ার্ড একমাত্র বাঁচাতে পারে সেই ব্যক্তি যাকে মানুষ এক কথায় মেনে নিয়ে দলকে ভোট দেবে। এমন মানুষ ওয়ার্ডে পাওয়াটাও খুব কঠিন হয়ে উঠেছে কারণ ওয়ার্ডের সর্বত্রই এমন গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে যে সেখান থেকে বেড়িয়ে আসাটা খুবই কঠিন। তবুও তৃণমূল সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও তেমন কোন নাম উঠে আসে নি তৃণমূলের তরফ থেকে। তবে এটাও ঠিক খুব ভেবে এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী বাছাই করতে হবে নচেত এই ওয়ার্ড নিশ্চিত তৃণমূলের হাতছাড়া হবেই।