ক্ষমতার লোভ এতটাই যে “মা”, “সন্তান” ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন সোনালী গুহ, বিজেপিতে দীনেশ ত্রিবেদী
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৬ই মার্চ ২০২১ : সেই বাংলার দীর্ঘদিনের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া দিয়ে শুরুটা ছিল সোনালী গুহ-র। এরপর সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন সোনালী। কিন্তু ২০২১ সালের তৃনমূলের প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম না থাকায় অনেকটাই ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন আমার দুটো মা, মমতা ব্যানার্জি আমার আরেকটা মা। তৃনমূল দলটাকে নিজের সন্তানের মত ভালোবেসেছি। এটা আশা করি নি। আমার সুগারের অজুহাতে এবার প্রার্থী করা হল না। আমার সুগারের রোগটা ২০০১ সাল থেকে। তার জন্য প্রার্থী না হওয়ার কোন কারণ ছিল না। আমি আমার স্বামীর থেকেও বেশি সম্মান করতাম। আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি তাই রাজনীতি ছাড়া আমার পক্ষে বাঁচা অসম্ভব। মানুষের কাজ করার জন্য আমায় রাজনীতি করতেই হবে। তবে আমি কোথাও প্রার্থী হচ্ছি না, আমি বিজেপির হয়ে প্রচার করবো। মুকুল রায়ের সাথে এব্যাপারে কথা হয়েছে। আগামীকাল ব্রিগেডে বিজেপি-র সভায় প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে যোগ দিতে চলেছে বিজেপিতে, এমনই খবর রয়েছে।
এখানেই তো পরিস্কার হয়ে গেল, ক্ষমতার লোভ কতটা। বিজেপিতে গিয়ে তিনি প্রার্থী না হয়েও প্রচার করবেন। সেটা কি তৃনমূলে থেকে করা যেত না? নিজের মুখে যাকে “মা” বলেছেন, যে দলকে “সন্তান” বলেছেন তাদের সেই পবিত্র সম্পর্ক ছেড়ে গেলেন কি করে? সবটাই যে নাটক ছিল তা সাফ করে দিলেন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরের দিনই।
অন্যদিকে দীনেশ ত্রিবেদী দিল্লিতে গিয়ে তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন।একসময়ের তৃনমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদে ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তবে কি শুধু ক্ষমতা রক্ষার কারণেই এই দলবদল? প্রশ্ন রাজ্যের সব কোনায়। তৃনমূলের সাথে অনেকদিন আগেই দীনেশ ত্রিবেদীর সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। তার বর্হিরপ্রকাশ আজ ঘটলো। এখনও বিজেপি তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে নি। তবে কি তারা অপেক্ষায় আছে আর কে কে তৃনমূল থেকে ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। তারপরই চূরান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে?