প্রথম পর্বের নির্বাচনে বিজেপি-র রক্তের হোলি নন্দীগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায়, রাস্তায় বসে অবস্থানে পাপিয়া, অরূপ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, মেদিনীপুর, ২৭শে মার্চ ২০২১ : আজ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। মানুষের ভোটের ট্রেন্ড দেখে বিজেপি বেশ হতাশ হয়ে পড়ে। ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগ উঠতে আবার একবার বিজেপির সাথে নির্বাচন কমিশন মুখে চুনকালি মাখলো।
গোটা নন্দীগ্রাম বিধানসভায় অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশে ১৭ টা অঞ্চলে কলকাতা থেকে ১৭জন তৃনমূল নেতৃত্বকে পাঠানো হয় মমতা ব্যানার্জির পক্ষে প্রচার করতে। এই ১৭ জন দলে আছেন নন্দীগ্রাম ২ ব্লকে শক্তি প্রতাপ সিং (বয়াল ১), শান্তনু কোনার (আমদাবাদ ১), সম্রাট তপাদার (বয়াল ২), সুপ্রিয় চন্দ (খদামবাড়ি ১), সৌম্য বক্সি (খদামবাড়ি ২), অরূপ চক্রবর্তী (বিরুলিয়া), জয়া দত্ত (আমদাবাদ ২) এবং নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে আছেন পাপিয়া হালদার (মহম্মদপুর), রাজীব ঘোষাল (সামসাবাদ), কোহিনুর মজুমদার (নন্দীগ্রাম), শুভ্রকান্তি ব্যানার্জি (ভেকুটিয়া), আবীর নিয়োগী (গোকুলনগর), অর্পন সাহা (সোনাচুরিয়া), পারমিতা সেন (দৌদপুর), বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জি (হরিপুর)। কিন্তু কয়েকদিন আগে সূত্রে খবর বয়াল ২ অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা সম্রাট তপাদার বিজেপি-র হাতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সাম্প্রতিক অভিষেক ব্যানার্জি নন্দীগ্রামে সভা করতে গিয়ে নন্দীগ্রামে বিভিন্ন অঞ্চলে দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বকে সাধুবাদ জানান এবং পাপিয়া হালদারকে মহম্মদপুর ছাড়া বয়াল ২ অঞ্চলের দায়িত্ব দেন।এছাড়াও সেখানে দোলা সেন ও তৃণাঙ্কুর রয়েছে।
আজ নন্দীগ্রামে তৃনমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্নাকে বিজেপি মদতপুষ্ট দুষ্কৃতী মারধোর করে এবং তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে আনা হচ্ছে। এই ঘটনার পতিবাদে স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব শেখ সুফিয়ানের নেতৃত্বে নন্দীগ্রাম থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে ধরনায় বসেছেন। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন পাপিয়া, অরূপ সহ অনেকে। থানায় পবিত্র কর, গৌর শঙ্কর জানা, নারায়ণ দাস, রাধাকান্ত দাস, অরূপ সামন্ত, রঞ্জন সামন্ত, নিতাই বেরা, নরনাপাল প্রধান সহ আরও অনেকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং তাদের গ্রাফতারের দাবি করা হয়েছে।
নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী নিজের অবস্থা খারাপ দেখেই এই আক্রমণের রাস্তা অবলম্বন করেছেন কারণ গোটা জেলা জুড়ে শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী, সৌম্যেন্দু অধিকারীকে ঘিরে মানুষের বিক্ষোভ দেখে জেলা বিজেপি ও অধিকারী পরিবার অতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।বেলা ১টা পর্যন্ত ৫৫% মানুষ ভোট দিয়েছেন এবং এভাবেই চললে সময়ের শেষে ৮৫% ভোট প্রদান হবে বলে বলা যেতে পারে।