সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর সহযোগিতায় রাজপুর সোনারপুরের ৩৫ নং ওয়ার্ডে লকআউটে দুঃস্থ মানুষকে খাদ্য বিতরণ
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৮শে মার্চ ২০২০ : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকলের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যখন বাংলায় করোনা ঝড়কে প্রতিরোধ করার জন্য দিনরাত এক করে ফেলছেন এবং দুঃস্থ মানুষদের পাশে যেভাবে নিজে দাঁড়িয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন, তখন রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ নং ওয়ার্ডে দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ালো দেবাশিস দাশ ও ওয়ার্ডের কিছু শুভানুধ্যায়ীরা।তিনি জানান, সকাল এগারোটায় যাদবপুর লোকসভার সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য ৩৫ নং ওয়ার্ডের দুঃস্থ মানুষদের বিষয়ে জানাই এবং অনুরোধ করি ওয়ার্ডের মানুষজনের জন্য কিছু খাদ্যসামগ্রী বন্দোবস্থ করার জন্য । বিশ্বাস করতে পারিনি- অনির্বাণ ভট্টাচার্য মহাশয় এক ঘন্টার পর আমাকে ফোন করে জানান যে বেলা দুটোর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ম্যাটাডোর গাড়ি ওয়ার্ডে ঢুকে যাবে।কথা অনুযায়ী ঠিক হলো – আমাদের ওয়ার্ডে আমাদের প্রিয় সাংসদের পাঠানো খাদ্য সামগ্রী যথাসময়ে প্রবেশ করে । ৩৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের উপস্থিত সকল কর্মী বৃন্দ অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অনির্বাণ বাবু ও তাঁর সহযোগী তোতন বাবুদের।মানুষ খুশী।
৩৫ নং ওয়ার্ড গত লোকসভার ভোটে মিমি চক্রবর্তীর প্রতি যথার্থ বিচার না করলেও মিমি কিন্তু সব কিছু ভুলে এই বিপদ মুহূর্তে ঐ ওয়ার্ডের মানুষদের প্রতি তার ভালোবাসা পৌঁছাতে কুন্ঠাবোধ করেন নি । মমতা ব্যানার্জির আদর্শ ও নীতি, যে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছানো – মিমি তা প্রমাণ করলেন । মমতা ব্যানার্জির দল যে কেবল ভোটের রাজনীতি করে না, মিমি তা পুনরায় প্রমাণ করলেন। আজ ৩৫ নং ওয়ার্ডে প্রায় ৩৫০ জন দুঃস্থ পরিবার এই খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, আলু ও হাত ধোবার সাবান পেয়েছেন। মিমি চক্রবর্তীর ত্রাণ পৌঁছানোর খবর পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে বহু মানুষের জমায়েত উপক্রম হলে মানুষের স্বাস্থ্যের কোথা ভেবে তৎক্ষণাৎ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।পরে সন্ধ্যায় আবার বিতরণ করা হয়। যেহেতু তাড়াহুড়ো করে অনির্বাণ ভট্টাচার্য ত্রানের ব্যবস্থা করেছিলেন, তাই উপস্থিত সকলকে উদ্যোক্তারা খাদ্য সামগ্রী দিতে পারেন নি, মানুষের চাহিদা মেটাতে অনির্বাণ বাবু আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপে আরও কিছু খাদ্যসামগ্রী আমাদের ওয়ার্ডের দুঃস্থ মানুষদের জন্য পুনরায় পাঠাবেন।আমরা মিমি চক্রবর্তীর এই সহজগিতার জন্য উৎসাহিত ও আপ্লুত । কিন্তু আমরা দুঃখিত যে আমাদের ওয়ার্ডে প্রায় দেড় হাজার দুঃস্থ পরিবারের চাহিদা পুরণ করতে পারিনি।
এই ওয়ার্ডের তৃণমূল পৌরপিতা গৌরহরি দাসের এরকম একটা সঙ্কটময় সময়ে কোন ভূমিকা নেই। তিনি বাকি সকলের মত বাড়িতে গৃহবন্দী হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। ওয়ার্ডের মানুষ খাদ্যের অভাবে মরছে আর পৌরপিতা চিকিৎসক ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ১৪ দিনের আইসোলেশনে। ভাবা যায় এরপরও তাঁরা দাবি করে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে।একে ওকে ধরে রাজ্যের মন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছে যায় নিজের নাম সুপারিশের জন্য।