Warning: mysqli_real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:101106 Library:100236 in /home/u190665168/domains/takmaaa.com/public_html/wp-includes/wp-db.php on line 1653
রেফারি ফিফা নিয়ম না জানার ফলে ইস্টবেঙ্গল ফাইনালে গেল না দাবি ইস্টবেঙ্গলের কোচ গারসিয়ার – takmaaa.com
You cannot copy content of this page. This is the right with takmaa only

রেফারি ফিফা নিয়ম না জানার ফলে ইস্টবেঙ্গল ফাইনালে গেল না দাবি ইস্টবেঙ্গলের কোচ গারসিয়ার

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২১শে আগস্ট ২০১৯ : ডুরান্ড কাপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয় গোকুলাম কেরেলা। যদিও ইস্টবেঙ্গলে তিনজন বিদেশী খেললেও গোকুলাম কেরেলা এফ সি-তে তিনজন বিদেশী খেলেছে। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল গোকুলামকে দমিয়ে রাখতে পারলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারে নি।১৮ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে একমাত্র গোল করে সামাদ আলি মল্লিক। সামাদ যদিও পুরো ম্যাচ খেলতে পারে নি, গুরুতর আহত হয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয় এবং তাঁর জায়গায় কমলপ্রীত সিং মাঠে নামে।কিন্তু ম্যাচের ছয় মিনিটের

ইঞ্জিউরি সময়ের শেষ মুহুর্তে বক্সের মধ্যে ফাউলের কারণে মেহতাব সিং-কে রেফারি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে যেতে বলে এবং একইসাথে পেনাল্টি দেয়। এই সিধান্ত নিয়ে বেজায় অখুশি হলেও কিছু করার ছিল না ইস্টবেঙ্গল শিবির। পেনাল্টিতে গোকুলামের হয়ে গোল করেন অধিনায়ক মারকোস লেরিক জোসেফ (জুঃ)। প্রায় ৩৩ মিনিট ইস্টবেঙ্গলকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়। ইস্টবেঙ্গল যে তাদের মনোবল হারিয়ে ফেলেছিল তা এক্সট্রা টাইমের খেলা দেখে বোঝা যাচ্ছিল। তখন শুধু চলছিল সময় নষ্ট করার খেলা। এক্সট্রা টাইমের শেষে খেলার ফল ছিল ১-১ আর তাই ম্যাচের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় টাইব্রেকারের। কিন্তু টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গল প্রথম শট থেকে ইস্টবেঙ্গলের ছিল একটু গাঁ ছাড়া।ম্যাচের শেষে গোকুলাম কেরেলা ৪-৩ গোলে হার মানতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। লালরিন্টিকা, কোলাডো, টোন্ডম্বা গোল না করাতে ইস্টবেঙ্গলকে পিছিয়ে পড়তে হয়।

তবে ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার থেকে গোকুলামের গোলকিপার উবেদের দুটো গোল আটকে দেওয়াটা জয় এনে দেয় গোকুলামকে। এই উবেদের ইস্টবেঙ্গলে খেলার কথা ছিল কিন্তু শেষ মুহুর্তে ইস্টবেঙ্গল তাঁকে দলে না নিতে চাওয়ায় সে একপ্রকার বাধ্য হয় গোকুলামে সই করতে। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গলের বিদেশী কোচ গারসিয়া জানান, আমার দলের ছেলেরা খুবই ভাল খেলেছে। ৩৩ মিনিট ১০জন নিয়ে খেলতে হয়েছে কিন্তু বিপক্ষ দল কোন গোল করতে পারে নি, এটা ছিল সব থেকে বড় ব্যাপার। সব কিছুর পর আমি বলবো এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের হারের পিছনে রেফারির একটা বড় ভূমিকা ছিল। যে পেনাল্টি হয় তা ফিফার নিয়ম অনুযায়ী হয় না কারণ বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় গোলের দিকে

মুখ করে থাকলে পেনাল্টি হয় আর এখানে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় ছিল গোলের দিকে পিছন করে। এরপর মেহতাবকে যখন লাল কার্ড দেখানো হয়েছে সেখানে আর পেনাল্টি হয় না। একটা ফাউলের জন্য দুটো শাস্তি হতে পারে না। হয় লাল কার্ড দেখাবে নয়তো পেনাল্টি দেবে। এখানে দুটোই হল। এখানেও রেফারি যে ফিফার নিয়ম নিয়ে খুব একটা অবগত নয় তা প্রকাশ পেল। ফিফার নিয়মে আছে যখন এক্সট্রা টাইমের খেলা শুরু হবে তখন ১০ জনের জায়গায় একজন সাবস্টিটিউট নামানোর অনুমতি দেওয়ার। এখানে রেফারি সেই নিয়ম মানেন নি। সুতরাং এই অভিযোগের ভিত্তিতে বলা যেতেই পারে ম্যাচের একমাত্র খলনায়ক রেফারি তেজাস নাগভেঙ্কর আর তাঁকে সাধ দিয়েছেন চতুর্থ রেফারি বেঙ্কটেশ। ফিফার নিয়ম না জানার ফলে আমাদের ম্যাচ হারতে হয়।ছবি : বিশ্বজিত সাহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *