সোনারপুর উত্তরে বিজেপি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে উঠে আসছে বসন্ত সেঠিয়া ও প্রাক্তন তৃনমূলী রঞ্জন বৈদ্যের নাম, সামনে তৃনমূলী দুর্ণীতি
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৫ই জানুয়ারি ২০২০ : সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আর তার জন্য বিজেপি এখন থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছে। সোনারপুর উত্তরে প্রায় বহু ওয়ার্ডে বিজেপি বিভিন্ন পথসভার মধ্যে দিয়ে মানুষকে সজাগ করার চেষ্টা করছে যেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তারা আর তৃনমূলকে ভোট না দেয়। বিভিন্ন ওয়ার্ডে তারা সেই ওয়ার্ডের নামজাদা তৃনমূল নেতাদের দুর্নিতির কথা তুলে ধরছে মানুষের সামনে। সাম্প্রতিক রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে একেবারে নাম করে সুব্রত মন্ডল ও জয়ন্ত সেনগুপ্ত-র নামে একাধিক দুর্নীতির কথা তুলে ধরে। এভাবেই তারা আগামী নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের তৃনমূল নেতাদের নামে খোঁজখবর করে তোলাবাজি থেকে দাদাগিরি-র তথ্য দিচ্ছেন।
সোনারপুর উত্তর বিধানসভা নিয়ে ইতিমধ্যে বিজেপি মহলে তোরজোড় শুরু হয়ে গেছে। সদ্য তৃনমূল থেকে দলছুট হয়েছেন রঞ্জন বৈদ্য। রঞ্জন বৈদ্য এতদিন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার তৃনমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের ঘনিষ্ট হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। সেই সুবাদেই শিক্ষক রঞ্জন বৈদ্য দুবার জেলা পরিষদে তৃনমূলের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। কিন্তু তার উচ্চাকাঙ্খা ছিল আরও বড় কিছু পাওনার। সেই আশা পূরণ না হতেই তৃনমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানা যায়। এবার হয়তো তিনি বিজেপির পক্ষে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার টিকিট পেতে চলেছেন বলেও সোনারপুরের হাওয়ায় শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও হিন্দুস্থান হেলথ পয়েন্ট নার্সিং হোমের কর্নধার বসন্ত সেঠিয়ার নামও উঠে আসছে বিজেপি শিবিরে।তবে এখনই কোন নাম প্রকাশ করছে না বিজেপি।এটা সম্ভাব্য তালিকা হিসাবে উঠে আসছে।
যদি এই বিধানসভা আসন সংরক্ষিত হয় তবে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন রঞ্জন বৈদ্য কিন্তু এই আসন যদি সাধারণ হয় তবে অবাঙ্গালি ভোট দখলে রাখতে বসন্ত সেঠিয়ার নামও ভাবতে পারে বিজেপি দল।কিন্তু তৃনমূলের প্রার্থীর পাশে এই দুই বিজেপি প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যে একেবারেই পাত্তা পাবে না তাও বেশ ভাল বুঝতে পারছে বিজেপি তাই সত্তব্রত দত্ত-র নামও শোনা যাচ্ছে তারই মাঝে। রঞ্জন বৈদ্য তৃনমূল থেকে আসার ফলে বহু বিজেপি ভোটার তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে মনে করছে অনেকে। রঞ্জন বৈদ্য ভাল বক্তা হিসাবে পরিচিত কিন্তু ভাল সংগঠক হিসেবে কখনই পরিচিত নন।যেহেতু দল এখনও নাম প্রকাশ করে নি তাই এইমুহুর্তে রঞ্জন বৈদ্য প্রচারে নামেন নি। তাঁকে কোন প্রচার মঞ্চেও দেখা যাচ্ছে না।কিন্তু সনারপুরের বাতাসে তার নাম বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ভেসে বেড়াচ্ছে। সেদিকে আবার বসন্ত সেঠিয়া ভাল বক্তা বা সংগঠক না হলেও একজন পুঁজিপতি হিসাবে পরিচিত আছে।কিন্তু তার নামের সাথে নার্সিং হোমের নামটাও চলে আসছে। তার নাম এলেই স্থানীয় ভোটারদের মনে দাগ কাটবে পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে এই নার্সিং হোমে ভর্তি হলে কিভাবে বিলের বোঝা চাপে যার দায় থেকে বসন্ত সেঠিয়া মুক্তি পাবেন না। এখন দেখার বিজেপি কোন প্রার্থীকে যোগ্য মনে করে তৃনমূলের বিপক্ষে আনবে আগামী নির্বাচনে।তবে বেশ কয়েকটা ওয়ার্ডে যে তৃনমূল ব্যাকফুটে থাকবে এখনই এটা হলফ করে বলা যাতে পারে।