হাওড়া তৃনমূলে বড় ভাঙন, বিজেপিতে যোগদানের সম্ভবনা বৈশালী, রথীন, প্রবীর ও লক্ষ্মীর
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, হাওড়া, ৩০শে জানুয়ারি ২০২১ : সাম্প্রতিক হাওড়া জেলায় বালি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল দলবিরোধী আইনে বহিষ্কৃত করে। কিন্তু বৈশালীর বক্তব্য “আমি কোন খারাপ কথা বলি নি। দলের ভালোর জন্য বলেছিলেম। দলে কিছু উইপোকার জন্য দলের ভাঙন ধরছে এবং ভাবমুর্তি খারাপ হচ্ছে। আমি সবসময় মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সম্মান করে এসেছি। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। কিন্তু কিছু নীচুতলার নেতৃত্বের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। বহুবার দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয় নি। অপমানিত হয়ে দলে কেউ থাকবে না, তাই তো লক্ষ্মীরতন, ডাঃ রথীন চ্যাটার্জি , প্রবীর ঘোষাল দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজেপি বলছে বিধানসভার আগে তৃনমূল দলে আরও ভাঙন হবে।
বৈশালী আরও বলেন, একা একা তো মানুষের জন্য কাজ করা যায় না। কোন একটা দলের হয়ে কাজ করতে হয়। তাই যখন তৃনমূল আমায় বহিষ্কার করেছে তখন মানুষের জন্য কাজ করার জন্য বিজেপিতে যোগদান করতে হচ্ছে। খুবই দুঃখজনক যে তৃনমূল ছেড়ে যেতে হল। কোনদিনও ভাবিনি যে যাকে দেখে রাজনীতি করতে এলাম তিনি একদিন দল থেকে বহিষ্কার করবেন। একটা দলে ভাল লোকের প্রয়োজন আছে। এক এক করে সব ভাল মানুষগুলো দল ছেড়ে দিচ্ছে। রাজীব ব্যানার্জি একজন ভাল মানুষ ছিলেন। তিনিও অপমানিত হয়ে মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন পরবর্তীতে বিধায়ক পদও ছাড়লেন। আগামীদিনে কি করবেন তা জানা নেই। এটাও ঠিক কথা বৈশালী ডালমিয়ার দল ভাঙ্গিয়ে খাওয়ার কিছু নেই। তিনি দলকে সামনে রেখে রোজগার করেন নি, বরং নিজের ঘরের টাকা দিয়ে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। করোনার সময় তিনি রাজ্যের বাইরের মানুষকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছেন। শিশুদের জন্য খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করেছেন।নিজের বিধানসভায় অসহায় মহিলাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। এমনকি লকডাউন পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে স্কুলগুলোকে বাধ্য করেছে তিনমাসের বেতন মোকুব করতে ও অতিরিক্ত টাকা না আদায় করতে, যা রাজ্যে একমাত্র বিধায়ক করতে পেরেছেন। কখনই তিনি সামনে আসেন নি, সবটাই নেপথ্যে থেকে করে গেছেন। এগুলো তিনি দলের ভাবমুর্তি ভাল রাখার জন্যই করেছিলেন। বালির মানুষ কি সেগুলো ভুলে গিয়ে সেখানে তৃনমূল প্রার্থীকে জয়ী করবে, সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।