নজরুল আলি মন্ডলের উদ্যোগে শুধুমাত্র মানুষকে তৃনমূলমুখী করতে নির্বাচনের আগে সোনারপুর ২ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী ওয়ার্ড কমিটি পরিবর্তন
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৭শে মার্চ ২০২১ : গত লোকসভা নির্বাচনে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে শুধুমাত্র ওয়ার্ড নেতৃত্বের উপর মানুষের ক্ষোভ প্রকাশের ফলে হারতে হয়েছে। এবার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ১০ই এপ্রিল, পরিস্থিতির কোনরকম পরিবর্তন হয় নি বরং মানুষ তৃনমূলের থেকে আরও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর নেপথ্যে একটাই নাম আর সেই নামটা সুব্রত মন্ডল। গত পৌরনির্বাচনে সুব্রত মন্ডলের জামাইবাবু অমরেশ সরদার তৃনমূলের প্রার্থী হন কিন্তু তিনি শুধু কাগজেই পৌরপিতা ছিলেন, ওয়ার্ডে লুটেপুটে খেয়েছেন এই সুব্রত মন্ডল। মানুষ এবার মুখ খুলেছে একজন মামুলি রেলকর্মচারী কিভাবে এক বিলাসবহুল বাড়ি নির্মান করতে পারে? কত টাকা মাইনে পেলে এরকম একটা বাড়ি তৈরি করা সম্ভব? দল একবার তদন্ত করে দেখুক এই টাকার সূত্র কি?
দফায় দফায় সোনারপুরের নেতৃত্ব থেকে বিধায়কের কাছে এলাকার তৃনমূল কর্মীদের অভিযোগ জমা পড়ে যাতে তারা এই সুব্রত মন্ডলের বিপক্ষে অনাস্থা ও দুর্ব্যবহার এবং অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন। ওয়ার্ডের খারাপ পরিস্থিতির জন্য একমাত্র সুব্রত মন্ডলকেই দায়ি করেছে তারা এবং তারা এমনও জানায় যদি একই নেতৃত্বের অধীনে ওয়ার্ড রাজনীতি করতে হয় তবে তাঁকে নিয়ে যেন নেতৃত্ব নির্বাচন থেকে রাজনীতি করেন, সাধারণ কর্মী কোন দলীয় কর্মসূচিতে সামিল থাকবে না।
আজ সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মূল সংগঠক নজরুল আলি মন্ডলের উদ্যোগে এক কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় আবার সেই অভিযোগ উঠে আসে। এরপর সাময়িক নির্বাচনী কমিটি তৈরি করা হয় যাতে সুব্রত মণ্ডলকে রাখা হয় নি। এই কমিটিতে মূল দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ওয়ার্ডের সমাজসেবী সুকান্ত মণ্ডলকে। কর্মী ও মানুষের বক্তব্য সুকান্ত মন্ডলের হাতে দায়িত্ব থাকলে ওয়ার্ডের মানুষ অত্যাচার থেকে মুক্তি পাবে। ওয়ার্ডের এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে পারবে একমাত্র সুকান্ত মন্ডল। এরকম স্বচ্ছ ভাবমুর্তি ও ধান্ধাবাজীহীন মানুষকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এই কমিটিতে রাখা হয়েছে সুব্রত মন্ডলের স্ত্রী শুক্লা মণ্ডলকে, কিন্তু রাজনীতি করতে হবে সুকান্ত মন্ডলের নেতৃত্বে। শুক্লা মণ্ডলকে নিয়েও সুব্রত মন্ডল মানুষের কাছে দলের নির্দেশের বাইরে গিয়ে প্রচার করেছেন আগামী পৌর নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী তৃনমূলের প্রার্থী। সুব্রত মণ্ডলের এই রাজনীতিকে সহমত প্রকাশ করেছেন সুব্রত মন্ডলের কিছু মদতপুষ্ট ওয়ার্ডের ধান্ধাবাজেরা। নজরুল আলি মন্ডলের আজকের এই পদক্ষেপে কর্মী ও মানুষ খুশি। এই পদক্ষেপের ফলে হয়তো ওয়ার্ডের রাজনীতি অনেকটাই বদলাবে এবং মানুষ হয়তো ফের তৃনমূলমুখী হবেন বলে আশা করছে অনেকে। সুকান্ত মন্ডলের নেতৃত্বে ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান হয়েছে সুভাস চন্দ্র পাল এছাড়া পরবর্তীতে নজরুল আলি মন্ডলের অনুমোদনে ওয়ার্ডের প্রতিটা বুথে কমিটি গঠণ করা হবে সাথে মহিলা, যুব, শ্রমিক সহ আরও কমিটি তৈরি হবে।