বিধায়ক ফিরদৌসী ও নজরুল মন্ডলের উদ্যোগে এবং প্রবীর সরকারের উপস্থিতিতে ঘরে ফিরলো ৩০০ বিজেপি কর্মী
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর, ২৬শে মে ২০২১ : বিধানসভা নির্বাচনের পর সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় তৃনমূল প্রার্থী তৃতীয়বার বিপূল মার্জিনে জয়ী হতেই ঘরছাড়া হয় খেয়াদহ এলাকার একটা বড় সংখ্যক বিজেপি কর্মীরা।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজের দলের নেতৃত্ব ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে বারবার অনুরোধ করেছেন হিংসার পথে না যাওয়ার জন্য। কিন্তু বহু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। তার বাইরে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার খেয়াদহ নয়, জয়ের পর বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও বিধানসভার মূল দায়িত্বে থাকা নেতৃত্ব নজরুল আলি মন্ডল সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর সরকারের উপস্থিতিতে খেয়াদহ ১ ও ২ নং পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৩০০ বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফেরানো হল।
বিধায়ক ঘরে ফেরা বিজেপি কর্মীদের আশ্বস্ত করে জানান, তারা তাদের নিশ্চিত জীবনে ফিরতে পারবেন। কেউ তাদের পরিবার ও চিরাচরিত জীবনে বাধা সৃষ্টির কারণ হবে না। তাদের কোন অসুবিধা হলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।নজরুল আলি মন্ডল তাদের বোঝান এলাকায় শান্তি বজায় রাখার ব্যাপারে সকলের মতো তাদেরও দায়িত্ব আছে।তারাও যেন অযথা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি না করেন।উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রপুর থানার আধিকারিক সুখময় চক্রবর্তী। তিনিও তাদের সঙ্গে কথা বলেন যাতে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা নষ্ট না হয়।
কিন্তু এরই মধ্যে মৃত্যু ঘটলো স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব নির্মল মন্ডলের। এই মৃত্যুর কারণ হিসাবে তৃণমূলের দিকে বিজেপি অভিযোগ করেছে।কিন্তু এলাকার তৃণমূলের পক্ষে জানানো হয়েছে এই মৃত্যুর সাথে তৃনমূল কোন ভাবেই যুক্ত নয়। ব্যক্তিগত আক্রোশে এই হত্যা হয়েছে।এব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি ও খেয়াদহ ২ নং পঞ্চায়েতের অন্যতম নেতৃত্ব প্রবীর সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কোন রাজনৈতিক হত্যা নয়।আমরা হত্যার রাজনীতি পছন্দ করি না। নির্মল মন্ডল একসময় তৃণমূলের স্বক্রিয় কর্মী ছিল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোন কারণে বিজেপিতে যোগদান করে। শোনা যাচ্ছে তাঁকে প্রচুর টাকার লোভ দেখিয়ে বিজেপিতে যোগদান করায়। জানা যায় বিজেপি তাঁকে একটা বাইক দেয়। এরপর স্থানীয় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিয়ে নিজেদের মধ্যে অশান্তি হয়। জানা যায় তার জেরেই এই হত্যা। বিজেপি তার মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে। আমাদের অনেক কর্মীদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে, এভাবেই বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন কিছু অন্য দলের নেতা কর্মীরা বাংলাকে অশান্ত চালিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনে মোকাবিলা না করতে পেরে এবার এই রাস্তা ধরতে চাইছে বিজেপি। আমরা কখনই তাদের ফাঁদে পা দিচ্ছি না। এলাকা শান্ত ছিল ও থাকবে। বিধায়ক নিজে দায়িত্ব নিয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরাচ্ছেন। আমরা তার প্রতি আস্থাশীল।