ভবানীপুর বিধানসভায় প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হলেন হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চা প্রার্থী শতদ্রু রায়
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, কলকাতা, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২১ : ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করার পর তৃণমূলের সাথে বাকি সব দলের প্রার্থীরা নিজেদের প্রচারে নেমে পড়েছে। এই কেন্দ্র থেকে তৃতীয়বারের জন্য প্রার্থী হচ্ছেন রাজ্যের অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হলেই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীত্ব করতে পারবেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী বিজেপি হলেও মাঝে এন ডি এ সরকারে থাকা হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চা পাল্লা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। এই কেন্দ্রে হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চা প্রার্থী দিল্লি পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল শতদ্রু রায় চট্টোপাধ্যায় আমাদের এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন এই কেন্দ্র থেকে মমতা ব্যানার্জি ১ ভোটে হলেও হারবেন। কিন্তু সেটা কিভাবে তা তিনি পরিস্কার করে বলেন নি কিন্তু এন ডি এ সরকারের সরিক হয়েও তিনি বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রচার করবেন তা নিয়ে তিনি বলেন, সরকারে থাকলেও তারা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। সরকারের সমালোচনা তারা করবেনই। তাদের নেতৃত্ব কেন্দ্র সরকারের উপর এই কোভিড টিকাকরণ নিয়ে সবার আগে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন।
এই কেন্দ্রে মোট প্রার্থী সংখ্যা ১২। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে প্রার্থী না দিতে চাইলে সিপিএম এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছেন। কিন্তু শতদ্রু রায় ১৯শে সেপ্টেম্বর প্রচারে গেলে তাকে আক্রান্ত হতে হয়। এক কথায় তাকে প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। কে বা কারা তাকে আক্রমণ করেছেন তা তিনি বলতে পারছেন না। কিন্তু ঘটনার পর ভবানীপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানানোর পর দলীয় কর্মীদের নিয়ে থানার সামনে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে অবস্থানে বসেন ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন। তবে কি তৃণমূল তাকে আক্রান্ত করল নাকি এন ডি এ সরিক হওয়ায় বিজেপি তাকে বাধা দিল সেটা এখনও পরিস্কার হয় নি। শতদ্রু রায় এই নির্বাচনে একটাই দাবি তুলেছেন, তৃণমূল বলছে “খেলা হবে” আমি বলছি “স্কুলের দরজা খুলতে হবে”। তার জন্য বিজেপিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে ১৮ বছরের নীচে শিশুদের করোনা টিকাকরণ চালু করতে হবে।