রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভা এলাকার ভূ-গর্ভস্থ জলের অপব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নিলেন সি আই সি নজরুল মন্ডল
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর, ১৫ই জুন ২০২২ : আমরা সকলেই শৈশবকাল থেকেই জানি জলের অপর নাম জীবন। আর এই জল নিয়ে ভাল ব্যবসা চলছে গোটা সোনারপুর অঞ্চলে। এখন একটা ট্রেন্ড এসেছে বোতলে ভরা জল না খেলে শরীর ভাল বা সুস্থ থাকে না আর তাই বিভিন্ন এলাকায় ২০ লিটারের জলের ব্যবসা চলছে বেশ রমরমিয়ে। তা ভাল সেই ব্যবসা হলে কিছু খারাপ না কারণ সকলেই জানি এই গোটা অঞ্চলে আর্সেনিকের বেশ ভাল প্রভাব আছে। কিন্তু তার মানে তো এটা নয় যে যেখানে সেখানে পানীয় জলের কারখানা গজাবে। এই কারখানা হওয়া মানে ভূ-গর্ভস্থ জল তুলে ২০ লিটারের ড্রামে করে বিক্রি। সেটা আগামীদিনে ভয়ংকর হতে চলেছে। এতে জলের স্তর নেমে যাবে এবং সাধারণ বাড়িতে জল সঙ্কট দেখা ভেবে। এই নিয়ে আমরা সোনারপুর উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার জল দপ্তরের সি আই সি নজরুল আলি মন্ডলের নজরে আনি আর আমাদের এই আবেদনকে মান্যতা দিয়ে তিনি দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
বর্তমানে রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার অন্তর্গত কোন এলাকায় জলাভাব নেই, বরং সব ওয়ার্ডে পৌরসভার পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীদিনে আরও উন্নত হবে এই পরিষেবা কারণ ইতিমধ্যে গোটা পৌরসভা এলাকায় পানীয় জলের ওভারহেড ট্যাঙ্কের কাজ শেষের মুখে, পাইপলাইনের কাজ চলছে। কিন্তু বর্তমানে পানীয় জলের কারখানা (Packaged Drinking Water Plant) গুলির জল সরবরাহের উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত মাত্রাতিরিক্ত ভূ-গর্ভস্থ জল উত্তোলন করে চলেছে। ফলপ্রসূ, আগামীদিনে ভূ-গর্ভস্থ জলের পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এমতাবস্থায় আজ পৌরসভার পানীয় জলের কারখানাগুলির কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিকল্প কোনো পন্থা অনুসরণ করে অবিলম্বে ভূ-গর্ভস্থ জল উত্তোলন বন্ধ করার উদ্দেশ্যে আর্জি জানিয়েছেন পৌরসভার জল দপ্তরের সি আই সি নজরুল আলি মন্ডল। এই নিয়ে ইতিমধ্যে সি আই সি নজরুল আলি মন্ডল পৌর প্রধান ডাঃ পল্লব দাস ও ইও-কে নিয়ে পৌরসভা অন্তর্গত সকল জল কারখানার ব্যবসায়ীদের নিয়ে ১০ই জুন পৌরসভার বোর্ডরুমে বৈঠক করেন এবং তাদের অবিলম্বে তা বন্ধ করে বিকল্প ব্যবসা করার অনুরোধ জানান। তিনি আমাদের এমনও জানান, কোন এলাকায় কটা এধরনের কারখানা আছে তার তালিকা করা হয়েছে।