কলকাতা কারোরেশনের ৪৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী হিংসা- কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার স্তরের তত্ত্বাবধানে তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
নিজস্ক সংবাদদাতা, তকমা নিউজ, কলকাতা, ৭ই জুলাই ২০২২ : কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের নির্বাচনে, ৪৫ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখল , রিগিং এবং পুলিশের সামনে কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক এবং তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট অমিতাভ চক্রবর্তীর উপর আক্রমণের অভিযোগে মহামান্য হাই কোর্টের দ্বারস্ত হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।
গত ১৯শে জানুয়ারী, কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনে ৪৫ নং ওয়ার্ডে ব্যাপক অশান্তি হয়। নির্বাচনী হিংসা এবং ভোট লুঠের অভিযোগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সহ ১৩ জন তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতী এবং ওই থানার দুই সাব – ইন্সপেক্টরের নামে অভিযোগ জানায়-কংগ্রেস প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট অমিতাভ চক্রবর্তী।
এই অভিযোগের কোন সুরাহা না হওয়ায়, আমিতাভ চক্রবর্তী মহামান্য হাই কোর্টের দ্বারস্ত হয়। তাঁর আইনজীবী রবিশঙ্কর চ্যাটার্জী মহামান্য আদালতের কাছে গণতন্ত্র রক্ষার আবেদন জানান এবং দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য সওয়াল করেন।
মহামান্য বিচারপতি রাজশেখর মান্থা-প্রথমে হেয়ার স্ট্রিট থানাকে বিশদ রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরেও কোন রকম তদন্তের অগ্রগতি না হওয়ায়, আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় মহামান্য আদালতের কাছে দ্রুত তদন্ত শুরু করার জন্য আবেদন জানান।
এই প্রেক্ষিতে মহামান্য বিচারপতি শম্পা সরকার গণতন্ত্র রক্ষার্থে এবং নির্ভয়ে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার স্তরের কোন অফিসারের তত্ত্বাবধানে পুলিশকে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, আশাকরি, তদন্ত এবার নিরপেক্ষ হবে এবং দোষীরা সাজা পাবে। অন্যথায় মহামান্য আদালতের দরজা খোলাই আছে।
মামলার আবেদনকারী অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন , মহামান্য আদালতের এই নির্দেশের পরে সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে নির্ভয়ে যেতে পারবে এবং পুলিশ মদতে ভোট-হিংসা এবার বন্ধ হবে। মাথা উঁচু করে , শিরদাঁড়া সোজা রেখে আমাদের লড়াই চলবে।