বিদেশে সব দেশে ব্যালটে ভোট হয় এবার আমাদের রাজ্যে সব নর্বাচনে ব্যালটে ভোট হবে, ২০১৯ সালের নির্বাচন একটা মিস্ট্রি হয়েছে, হিস্ট্রি নয় : মমতা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২১শে জুলাই ২০১৯ : ২১শে জুলাই শহীদ মঞ্চ থেকে মমতা ব্যানার্জি বলেন, বিদেশে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানির মত দেশে ব্যালটে ভোট হয় আর ভারতে ইভিএম মেশিনে কারচুপি করে ভোট হবে? আর চলবে না। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন ছিল একটা মিস্ট্রি ওটা হিস্ট্রি নয়। আমি বুঝতেই পারছি না এই ফল কিকরে হল। লোকসভা নির্বাচনের পর কর্ণাটকে পুরসভা নির্বাচন হল ব্যালটে, সেখানে বিজেপি হেরেছে, রাজস্থানে, উত্তরাখন্ডে একই অবস্থা হয়েছে। এখন কর্নাটক ভাঙতে ঘোড়া কেনাবেচা করছে বিজেপি। কত এভাবে আর কত কিনে ভাঙবে, দেখবে নিজের কোমড় ভেঙে গেছে। গণতন্ত্র ফেরাতে হবে, আবার ব্যালটে ভোটগ্রহণ চালু করতে হবে। আমাদের রাজ্যে পুরসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট নিয়েই ভোট হবে। প্রতি ১০ বছর সারা দেশের রাজনৈতিক রিভিউ হয় কিন্তু বিজেপি হঠাৎ বলছে তৃণমূলের জাতীয় মর্যাদা থাকছে না। কি এলো গেল তাতে, আমার প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক মর্যাদা নেব। তৃণমূল ছেড়ে শুনেছি অনেকে বিজেপিতে যাচ্ছে আবার দেখছি তারা ক’দিনের মধ্যে আবার তৃণমূলে চলে আসছে। এ যেন উল্টোরথ হচ্ছে। আমি উত্তরবঙ্গের এক বিধায়ক বিজেপিতে চলে গেছে শুনেছিলাম, পরে শুনলাম আবার ফিরে এসেছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম , শুনেছিলাম বিজেপিতে গেছো আবার আমার কাছে কেন? কি দিচ্ছিল তোমায়? সে জানালো, ২ কোটি টাকা আর একটা পেট্রোল পাম্প। আমার ভাল লাগেনি। আমি শুনে বললাম, তবে কি দর বাড়াচ্ছো? বিজেপি ভাবলো ২০১৯ সালে ৪২টা আসনের মধ্যে ১৮ টা পেয়ে গেছে মানে সব রাজ্যটাই হাতে পেয়ে গেছে, তাই সারা রাজ্যে তান্ডব চালাচ্ছে, পার্টি অফিস দখল করছে, সারা রাজ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। আমরাও ২০০৯ সালে ২৬টা আসন পেয়েছিলাম আমরা তো কোন পার্টি অফিস দখল করি নি। কিছু কুচো চংড়ি আর ল্যাটা মাছ বিজেপিতে গিয়ে ভেবে নিয়েছে ১৮টা পেয়ে গেছি মানে রাজ্যটা ওদের হয়ে গেছে, আরে ৪২টা তো পায় নি এখনও, বাকি ২৪টা তো আমাদের আছে। এত লাফানোর কি আছে? অনেকগুলো আসনে তো ১০০০ ভোট থেকে ৩০০০ ভোট জয়ী হয়েছে। আমার কাছে একটা ভিডিও আছে যেখানে এক বিজেপি নেতা বলছে, হিন্দুদের মরতে দাও, যত হিন্দু মরবে তত আমরা জিতবো।ওরা বাংলার দেব দেবীদের নিয়ে কোন কথা বলছে না, ওদের আরাধ্য দেবতাকে বাংলার মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বলছে আরাধনা করতে হবে। মামা বাড়ির আবদার একেবারে। ভোটে জিতে গ্যাস, ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দিল, কেন্দ্র সরকার পরিচালিত ৪২টা সংস্থা বনধ করে বেঁচে দিল। তার জবাব কে দেবে। যখন যা ইচ্ছে বিল পাস করাচ্ছে। আমরা জানতেই পারছি না। রাজীব গান্ধীও ৪০০ আসনে জয়ী হয়েছিল সরকার চালানো কঠিন হয়ে গিয়েছিল। আর ওরা ৩০০ আসন পেয়ে ভাবছে সরকার চালাবে। ওদের কোন কৃতিত্ব নেই, বিরোধীদের দয়ায় সরকার চালাচ্ছে। ৬ মাসের মধ্যে সরকার ভেঙে যাবে।