আমফানের সাথে করোনা লকডাউন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিলের ৩ মাসের ছাড় নিয়ে দুর্গতদের পাশে কংগ্রেস
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১০ই জুন ২০২০ : রাজ্য সরকার যেখানে করোনার কারণে মার্চ মাস থেকে রাজ্যের মানুষ লকডাউন পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি করে দিয়েছিলেন।এর সাথে আমফান ঘুর্নি ঝড়ে রাজ্যের মানুষের মাত্রাতীত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে দুষছেন কোন আর্থিক প্যাকেজ দিচ্ছে না, কেন্দ্র বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কিন্তু রাজ্যের মানুষকে কোন সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবছেন না।জয় বাংলা, জয় জোহার বা প্রচেষ্টার মত কয়েকটা মাত্র প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মাত্র মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু রাজ্যের বর্তমানে বিদ্যুতের বিল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। লকডাউনে মানুষের রোজগার ছিল না আর এর মধ্যে বিদ্যুতের বিল একটা বাড়তি খরচ। তাই এব্যাপারে আজ প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের নেতৃত্বে দক্ষিণ বরাহনগর টাউন কংগ্রেস বরাহনগর সি ই এস সি অফিসের সামনে তিন মাসের বিদ্যুতের বিল ছাড়ের ব্যাপারে বিক্ষোভ দেখায়। উপস্থিত ছিলেন তপন দাস (চেয়ারম্যান, প্রদেশ কিশান কংগ্রেস, সৌরভ ঘোষ (সম্পাদক, প্রদেশ কংগ্রেস), তপন রায়, দেবদাস গাঙ্গুলি সহ অনেকে। একই দিনে দমদম টাউন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নন্দননগর রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন শক্তি মৈত্র, পরিতোষ তালুকদার, পরীক্ষিত নাগ, সুজিত রঞ্জন দে সহ অনেকে।
আমরা এই ব্যাপারে কথা বলি রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সাথে। তিনি জানান, এই মুহুর্তে এই বিষয়ে কোন চিন্তা ভাবনা করার মত সুযোগ নেই কারণ রাজ্যে আমফান ঝড়ের প্রলয়ে বহু গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়া যায় নি কারণ অসংখ্য পোল ভেঙে পড়ে আছে চাষের খেতে, জলাশয়ে উপর, নদীতে। আগে এগুলো সব ঠিক করতে হবে। এছাড়া আমাদের সরকারকে বিদ্যুৎ কিনতে হয়।যে তিন মাসের কথা বলা হচ্ছে সেই তিন মাস গ্রাহকেরা তো বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে। তোমার জানা নেই ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বিদ্যুতের অনাদায় টাকার অঙ্কটা ২০০৯ কোটি টাকা। গ্রাহকেরা বকেয়া বিল মেটাচ্ছে না। আমি দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি এই অবস্থায় কোন বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা যাবে না এবং বিল যদি দেরি হয় দিতে সেক্ষেত্রে কোন লেট ফাইন নেওয়া যাবে না।