বহু পরীক্ষিত পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নজরুল মন্ডলের উদ্যোগে চালু হল গড়িয়ার সান্ধ্য বাজার
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১লা জুলাই ২০২০ : গড়িয়া স্টেশনের সান্ধ্য বাজার বন্ধ থেকে নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের রাজনীতি করেছে, অপপ্রচার করেছে, ব্যবসায়ীদের উস্কানিমূলক মন্তব্য করে বিভ্রান্তিতে ফেলেছেন। অনেকে এমনও বলেছিলেন যে যারা স্থায়ীভাবে এতদিন ব্যবসা করছিলেন তাঁদের বদলে নতুন ব্যবসায়ীদের বসানোর চক্রান্ত চলছে, মানে এক কথায় তাঁদের উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু সেই লকডাউনের শুরু থেকে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার প্রাক্তন সি আই সি তথা বর্তমানে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য নজরুল আলি মন্ডল এই বাজার খোলার পক্ষেই সওয়াল করেছেন। কিন্তু তা কিভাবে খোলা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনেক জটিলতা। এই বাজার নিয়ে প্রচুর অভিযোগ পুঞ্জীভূত হয়েছিল যার সমাধান করতে এতদিন লেগে গেল। এই বাজার নিয়ে নজরুল আলি মন্ডল পাপাই দত্ত, সুকান্ত মন্ডল, পিন্টু দেবনাথ, জয়ন্ত সেনগুপ্ত, শ্রীমন্ত নস্কর সহ অনেকের সাথে বৈঠক করেন।
মাছের পাইকারি বাজার খুলে দিয়ে একবার পরীক্ষা করে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের যাচাই করে নিয়েছেন নজরুল আলি মন্ডল। এরপর সেই কমিটির মূল পরিচালক সুকান্ত মণ্ডলকে দায়িত্ব দেন ঠিক একই ভাবে সান্ধ্য বাজার খোলার জন্য। ব্যবসায়ীদের সাথে ও স্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়ে নজরুল মন্ডল মিটিং করেন দফায় দফায়।সেই মিটিং-এ সিদ্ধান্ত হয় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আগে প্রধান্য দেওয়া হবে এবং তারপর বাইরের ব্যবসায়ীদের। এছাড়া বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।বাজারে তিনটে প্রবেশদ্বারে ক্রেতাদের বাধ্যতামূলক স্যানিটাইজ করা হবে।বাজার সংলগ্ন রাস্তায় কোন প্রকারে যানবাহন পার্কিং নিশিদ্ধ।প্রথমদিন বলেই হয়তো কিছু ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক ছিল না।
দীর্ঘ ৩ মাস করোনার কারণে বন্ধ রাখা সান্ধ্য বাজার এবার সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনেই সুকান্ত মন্ডলের পরিকল্পনায় ও নজরুল আলি মন্ডলের সহযোগিতা ও উদ্যোগে আজ থেকে ৩৫ জন সবজি ও মশলা ব্যবসায়ী নিয়ে সান্ধ্য বাজার ফের চালু হল।এর বাইরে আছে মাছ ও মাংস ব্যবসায়ীরা।সুকান্ত মন্ডল জানান, নজরুল আলি মন্ডলের নির্দেশ এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য নিয়ম মেনেই অধিকাংশ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।এই বাজার খোলা নিয়ে নজরুল আলি মন্ডল বলেন, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের স্বার্থেই বাজার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের জন্য অনেক ব্যবসায়ীর আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁদের কথা মাথায় রেখে এই বাজার খোলা হয়েছে সরকারি সব রকমের স্বাস্থ্য বিধি বজায় রেখে। কিন্তু বাজার কমিটি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের যে বেনিয়মের অভিযোগ উচ্চ নেতৃত্বের কাছে দেওয়া হয়েছিল তা এখনও সমাধান করা হয় নি শুধুমাত্র বাজার সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় ময়লা ফেলে দুর্গন্ধ ছড়ানো ও বাজারের পরিধি বৃদ্ধি বন্ধ করা ছাড়া। এই ফাঁকা জায়গায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে এই জায়গায় কেউ বাজারের ময়লা ফেলে ভর্তি না করে। বর্তমানে এই বাজারের ব্যাপারে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা আবার নজরুল আলি মন্ডলের সাথে বৈঠক করে এই বেনিয়মের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসবে এবং একটা সুষ্ঠ বাজার কমিটি গঠন করবে যাতে কোন বেনিয়ম বা বেআইনি কার্যকলাপ পরবর্তীতে না হয় এবং ব্যবসায়ীরা যাতে সুস্থ ভাবে এবং স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারে। আগামীকাল নজরুল আলি মন্ডল নিজে সরজমিনে বাজার পরিদর্শনে আসবেন বলেও জানা যায়। বাজারের সীমানার বাইরে কেউ রাস্তার উপর নিজের মর্জিতে বসে সবজি বা অন্য কোন জিনিষ নিয়ে ব্যবসা করতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়।