বিনোদন

দূরে থাকা কাছের মানুষ- প্রথম ইন্দো বাংলাদেশ লকডাউন শর্টফিল্ম থেকে সংগৃহীত পুরো তহবিল ভারত-বাংলাদেশ সিনে শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলে অনুদান দেওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিনিধি, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৩ই মে ২০২০ : সাম্প্রতিক টিভিওয়ালা মিডিয়া (কলকাতা) এবং প্রেক্ষাগৃহ ভিশুয়াল ফ্যাক্টরি প্রোডাকশান (ঢাকা) যৌথ উদ্যোগে তৈরি হল শাহরিয়ার পলকের একটি শর্টফিল্ম ‘দূরে থাকা কাছের মানুষ’।দুই প্রযোজকের তরফে ঘোষণা করা হয় শর্টফিল্ম থেকে সংগৃহীত পুরো তহবিল ভারত-বাংলাদেশ সিনে শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলে অনুদান দেওয়া হবে।

নীরার অসুখ হলে কলকাতায় সবাই বড়ো দুঃখে থাকে।সূর্য নিভে গেলে পর, নিয়নের বাতি গুলি হঠাৎ জ্বলার আগে জেনে নেয়।নীরা আজ ভালো আছো?

দীপ্ত কবিতা থেকে অনেক দূরে, লন্ড থেকে কলকাতায় এসেছে একমাস হল.. ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া নিয়েই ওর গবেষণা.. গোটা পিথিবী যখন ভাইরাসে আক্রান্ত,  সে  তো  খোঁজ  নেবেই , তার নীরা কেমন আছে..  কেমন আছো বলতে গিয়ে বলে ফেললো অনেক কথা.. ওর নীরা ভালোই আছে, ওর নাম বন্যা..ঢাকা শহরে সে একজন সাংবাদিক, গান গাইয়ে হিসেবেও নাম আছে একটু আধটু.. দুজনে কথা বলে চোদ্দ বছর পর.. তারপর? তার পর দেখতে হবে..। অভিনয় : বিক্রম চ্যাটার্জি – দীপ্ত, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা শাওন বন্যা পারভিন, পরিচালক – শাহরিয়ার পলক, গল্প- অভ্র চক্রবর্তী, সহযোগী পরিচালক – মুস্তাফি শিমুল, সঙ্গীত ও শব্দ বিন্যাস – বিটকল মিউজিক. – মিউজিক এরেঞ্জমেন্ট ও ভয়েস – গৌরব মন্ডল জন, ফিমেল ভয়েসঃ সিথি সাহা, টাইটেল মিউজিকঃ শাহারিয়ার আলম মার্শেল –, বিশেষ সহায়তাঃ ইমন চৌধুরী, সম্পাদনা – প্রেক্ষাগৃহ ভ্যিজুয়াল ফ্যাক্টরি।

বিক্রম চ্যাটার্জি বলেন, “আমার কাছে এটি একটি সংবেদনশীল গল্প, দুটি ভিন্ন দেশে দীপ্ত এবং বন্যা । দীর্ঘদিন পর পরস্পরের সাথে কথা বলছি।একটা প্রেমের সুবাস ছড়িয়ে ছিল স্ক্রিপ্ট জুরে। এটি একটি খুব আলাদা অভিজ্ঞতা। আমার বন্ধু অভিনব এবং আমি শুটিং করেছি, আমরা ক্যামেরা, আর্ট, মেকাপ সমস্ত বিভাগের কাজই সামলেছি। আমি কলকাতায় মিথিলা ঢাকায় । সমস্ত লকডাউন বিধি বজায় রেখেছি। বাড়িতেই বসেই হয়েছে শুট। নিঃসন্দেহে একটি কঠিন কাজ , তবে টীমের সবার সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। ‘টিভিওয়ালা মিডিয়ার’ অমিতদা ও তিম, ঢকার ’ প্রেক্ষাগৃহ ভিজ্যুয়াল ফ্যাক্টরি সকলেই খুব সহযোগিতা করেছে। না হলে এই কাজ সম্ভব হত না। আমরা এই ছবির জন্য কোনও পারিশ্রমিক গ্রহণ করি এই শর্টফিল্ম থেকে সংগৃহীত পুরো তহবিল ঢাকা সিনে শ্রমিক এবং কলকাতা সিনেমা শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলে অনুদান দেওয়া হবে।অভ্র (চক্রবর্তী) গল্পটি লিখেছিলেন। আমি অভ্রকে চিনি “এলার চার অধ্যায়” থেকে ওর সাথে আবার কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত।আশা করি লোকেরা এটি ছবিটি ভাল লাগবে এবং যে উদ্দেশ্য নিয়ে ছবিটি তৈরি করেছি তাতে সফল হব। এটি একটি কঠিন পরীক্ষার সময়। আমরা অনেকেই ঘরে বসে কাজ না করে অর্থনৈতিক, মানসিকভাবে, মনস্তাত্ত্বিকভাবে সমস্যায় পড়েছি কিন্তু আমাদের সুরক্ষার জন্য আমাদের ঘরে থাকা দরকার।এই সময়কালে আমরা যা যা শিখেছি, আশা করি আগামি দিনে তা আমাদের চলার পাথেয় হয়ে থাকবে।একটি সুস্থ বিশ্বের জন্য কামনা করি সকলে সুস্থ থাকুন বাড়িতে থাকুন আর দেখুন ‘দূরে থাকা কাছের মানুষ’।

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা বলেন, “অমিত দা (‘টিভিওয়ালা মিডিয়া)আমাকে বলেছিল যদি এই সময়ে কিছু করা জায়। আমি ভেবেছিলাম এই COVID 19 লকডাউন সময়কালে সিনেমা-প্রযুক্তিবিদদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা খুব ভাল উদ্যোগ হবে। উভয় বাংলায় দীর্ঘ লকডাউনের কারণে অনেক প্রযুক্তিবিদ চাকরী হারিয়েছেন। এই কঠিন সময়ে তাদের সমর্থন করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে এটি কেবল একটি প্রয়াস।অভিজ্ঞতাটি অন্যরকম ছিল কারণ , প্রথমবারর মোবাইল ক্যামেরায় হোম-বেসড শুট হয়েছিল।প্রথমদিকে আমি ভেবেছিলাম খুব কঠিন হবে তবে অবশেষে আমি উপভোগ করতে শুরু করি। এবার সকলে ছবিটি পছন্দ করলেই আমাদের উদ্দেশ্য সফল হবে।আমার ভাই মাইমুন আমাকে ক্যামেরারয় সহায়তা করেছিল। আমার পরিচালক স্টোরি বোর্ড এবং তাঁর প্রয়োজনীয় শটগুলির ছবি সহ একে আমাকে অনেক সহায়তা করেছিল। সব মিলিয়ে আমরা শুটিং নিয়ে খুশি। লকডাউন পিরিয়ডটি আমার জন্য বেশ ব্যস্ততা কারণ আমি বাড়ি থেকে পুরো সময় কাজ করছি মানে ওয়ার্ক ফ্রম হোম । আমাকে আমার মেয়ের দেখাশোনাও করতে হচ্ছে। নিয়মিত বাড়ির কাজ এবং শুটিং এই দুটি কিছুটা কঠিন ছিল। তবে কাজের আনন্দও ছিল, আশা করি সকলের ভালবাসা পাবে ‘দূরে থাকা কাছের মানুষ’। পাবলিসিটি পার্টনার – সুদীপস এবং ওয়াইড অ্যাঙ্গেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *