শীতকে বিদায় জানিয়ে কলকাতায় উদযাপিত হল ভোগালী বিহু
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৬ই জানুয়ারি ২০২০ : মকর সংক্রান্তি উৎসব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন নামে উদযাপিত হয়। হিমাচল প্রদেশে যার নাম মাঘ সাজি, ওড়িষ্যায় মকরা চাউলা, কর্ণাটকে সুগগি হাব্বা, তামিলনাডুতে পোঙ্গাল, গুজরাটে উত্তরায়ান, কেরল মহারাষ্ট্র অন্ধ্রপ্রদেশে মকর সংক্রান্তি, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় লহরি, কাশ্মীরে শিশুর সায়েঙ্কারাত, বিহার উত্তর প্রদেশ উত্তরাখান্ডে শাকরাত এবং মাররাত, পশ্চিমবঙ্গে পৌষ সংক্রান্তি আর আসামে ভোগালী বিহু।আসামে বছরে তিনবার বিহু উৎসব পালিত হয়। বৈশাখ মাসে আসামে পালিত হয় বোহাগ বিহু বা রঙ্গালি বিহু, এই সময় রঙ দিয়ে নাচ ও গানের মাধ্যে দিয়ে বাংলা বছরকে আহবান করা হয়, এই সময় নতুন চাষের শুরু হয়। এরপর মকর সংক্রান্তিতে মাঘ বিহু বা ভোগালী বিহু পালিত হয়। এই সময় ধান কাটা শেষ, ধান বিক্রি হয় তাই নাচ গানের মধ্যে দিয়ে রকমারি খাবারের মধ্যে দিয়ে ভোগের মাধ্যমে এই উৎসব পালিত হয়। বিভিন্ন ধরনের মাছ, সবজি ও পিঠে তৈরি করে সকলে নাচ গানের মধ্যে দিয়ে আনন্দ করে।
এছাড়া ধান কাটার পর যে বিচালি থাকে তাকে একসাথে করে পুজোর মাধ্যমে তিল, ডাল ছিটিয়ে আগুন দেওয়া হয়।এর কারণ হল শীতকে বিদায় জানিয়ে মাঘ মাসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সব শেষে কার্তিক বিহু বা কাঙালি বিহু। এই সময় সকলের হাতে অর্থের বড় সঙ্কট দেখা যায় তাই সকলকে নিয়ে একসাথে খাওয়া দাওয়া করা হয় বলে নাম কাঙালি বিহু। সাম্প্রতিক কলকাতায় আসাম ভবনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হল “ভোগালী বিহু”। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ এইচ এল ক্লাবের সভাপতি করুণাকান্ত ডেকা, সম্পাদক চন্দন কুমার ফুকান সহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্য ও সদস্যা এবং বিভিন্ন বয়সের শিশুরা।অনুষ্ঠানে চন্দন ফুকান বলেন, এখানে শুধু আসমিয়ারা অংশগ্রহণ করে না, আসামের সাথে যে যুক্ত সব ধরনের মানুষকে নিয়ে এই উৎসব পালিত হয়। প্রচারে ক্রাউডনেক্সট মিডিয়া।