“পরিনীতা” চেষ্টা করলে দর্শকদের মনে আরও একটু দাগ কাটতে পারতো
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৯ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ : নির্দেশক রাজ চক্রবর্তী প্রতিবারই দর্শকদের জন্য কিছু নতুনত্ব নিয়ে আসে তার ছবিতে যা মানুষের মনে দাগ কেটে থাকে। এবারও ঠিক তাই, ঋত্বিক-শুভশ্রী জুটিতে চমক দিয়েও শেষ পর্যন্ত দর্শকদের মনে দাগ কাটতে পারলো ‘পরিণীতা’-র গল্প। বাজারে ছবি মুক্তির আগে থেকে যে হাইপ উঠেছিল সেটাকে বজায় রাখতে আরও বেশি ধরে রাখতে পারতো নির্দেশক রাজ চক্রবর্তী কারণ আজকাল মানুষ এরকমই একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প চায় বিশেষ করে টিনেজাররা। কাজে লাগিয়েও কোথায় যেন মাঝখানে হারিয়ে গেল, ঘটলো ছবির ছন্দপতন।
ছবিতে ঋত্বিকের মতো অভিনেতা। সেই সঙ্গে বড় পর্দায় প্রথমবার ঋত্বিক-শুভশ্রী জুটি!’পরিণীতা’ সিনেমার চুম্বকের আকর্ষণে ছিল বাবাইদা (ঋত্বিক) ও মেহুলের (শুভশ্রী) মিষ্টি প্রেম। ফ্রক পরা অষ্টাদশী শুভশ্রীর মিষ্টি লুকে গল্প হিট।যদিও চেনা ছকে প্রেম দেখিয়ে ট্র্যাজিক পরিণতি থেকে বেরোতে পারলেন না রাজ। গল্পের ফাঁকগুলো প্রথমার্ধে উত্তর কলকাতার গলিতে গলিতে ঋত্বিক-শুভশ্রীর প্রেম দিয়ে ঢেকে রাখা গেলেও ম্যাচ জেতা হল না। ট্র্যাজিক পরিণতি দেখাতে গিয়ে ফার্স্ট হাফেই ঋত্বিকের মৃত্যু দেখানো হয়। নির্দেশক ঋত্বিককে পেয়েও কেন শেষ পর্যন্ত রাখলেন না, সেটা বোঝা গেল না!
মিষ্টি প্রেমে দর্শকদের ডুবতে চেয়েছিল কিন্তু আসল সময়েই ঋত্বিককে সরিয়ে দিয়ে কোথায় যেন রসায়নের তাল কাটলেন পরিচালক। পর্দায় এই জুটিকে বেশিক্ষণ ধরে দেখা গেলে মন্দ লাগত না। সেই সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধে প্রেডিক্টেবল গল্প বলতে গিয়ে সিনেমার বাঁধন অনেকটা আলগা হয়ে গেল। গল্পে জল ঢুকলেও ‘পরিণীতা’-য় শুভশ্রীর অভিনয় মনে ধরবে। হিরোইন ইমেজ থেকে বেরিয়ে এসে মেহুল চরিত্রে নিজেকে একেবারে অন্যভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন শুভশ্রী।বিশেষ করে শুভশ্রীর নো মেকআপ লুক কিন্তু দারুণ ছিল, একেবারে সিস্পল। সঙ্গে ঋত্বিক একেবারেই সাবলীল অভিনয় করে গিয়েছেন। ছোট ছোট চরিত্রে বাকিরা যথাযত। তবে গোটা সিনেমা জুড়েই আকর্ষণের কেন্দ্রে শুভশ্রী। গৌরব, বিশ্বজিত চক্রবর্তী, তুলিকা বসু, লাবনী সরকার, সামিউল আলাম, ফালাক রাশিদ রায় তাদের সাবলীল অভিনয় দিয়ে ছবিকে আরও জ্বলন্ত করে তুলেছে। হাতে অফুরন্ত সময় থাকলে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে এই সিনেমার একবার দেখে আসা যায়।ছবি : রাজীব মুখার্জি।