৩০শে অক্টোবর ফের ৪ বিধানসভায় উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কমিশন, নভেম্বরে সম্ভবত পৌরসভা ও কর্পোরেশন
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, কলকাতা, ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২১ : ৩০শে সেপ্টেম্বর রাজ্যের তিনটে বিধানসভায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে যার মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর, সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুর বিধানসভা। এই তিনটে বিধানসভার উপনির্বাচনের পরেই ফের ৩০শে অক্টোবর আরও চারটে বিধানসভায় উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন।
৩০শে অক্টোবর চারটে বিধানসভার মধ্যে আছে দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দা ও গোসাবা বিধানসভা। দিনহাটা ও শান্তিপুর বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী সাংসদ নিশিথ প্রামানিক ও জগন্নাথ সরকার ছেড়ে দেওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন হবে এবং খড়দায় কাজল সিনহা ও গোসাবা বিধানসভায় জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুর কারণে সেখানেও উপনির্বাচন হবে।
ইতিমধ্যে খড়দা বিধানসভায় রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী এবং এই ভবানীপুর বিধানসভা থেকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এই কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে মমতা ব্যানার্জি প্রার্থী হওয়াতে এই পরিবর্তন। এর আগেও এই ধরনের জয়ী আসন থেকে প্রার্থীকে ইস্তফা দিয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হতেই বিজেপির যেন মাথায় হাত পড়ে গেল। তারা রে রে করে আদালতে গিয়ে অভিযোগ করলেন কেন জয়ী কেন্দ্রের প্রার্থীকে সরিয়ে মমতা ব্যানার্জি প্রার্থী হবে, কেন এই মানুষের অর্থের অপচয়। নমিনেশনের শেষ তারিখ ৮ই অক্টোবর এবং প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ই অক্টোবর।
এর আগের ক্ষেত্রগুলোতে কি চোখে কালো ফেট্টি ছিল এই সব প্রতিবাদী, মানবদরদী নেতৃত্বদের? গ্যাসের ও জ্বালানি এবং ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছে তাতে কি মানুষের অর্জিত অর্থের টান পড়ছে না? তখন কি মানুষের কষ্ট হচ্ছে না? একবার তো এই সব দরদী নেতৃত্বরা নিজেদের প্রাধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করতে পারেন। নাকি নিজের দলের প্রধানমন্ত্রী বলে সব ছাড়। দেশের প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা সফরে যেতে পারেন তাতে কোন করোনা বিধি নিষেধ নেই আর যখনই রোমে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাই সেখানে বিধি নিষেধ আরোপ করা হল? এদিকে রোমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকছেন। আসলে তা নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী ডাক পায় নি, আর সেখানে সেই দেশের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ডাক পেয়েছেন তা কি আর সহ্য হয়?