গড়িয়া সান্ধ্য বাজারের অটো ইউনিয়ন সরকারি বিধি না মেনে বাড়তি ভাড়া চাপাচ্ছে যাত্রীদের উপর
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২৮শে নভেম্বর ২০২০ : করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের সব অটো, বাস চলাচল বন্ধ ছিল কিন্তু আনলক হতেই ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক করতে চাইছে সরকার। অটোতে যেখানে ৫ জন যাত্রী চলাচল করতো সেখানে ৩ জন করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে সরকার। সামাজিক দুরত্ব বজায় ও যাতে চালকরা আক্রান্ত না হয় তার জন্য এই নিয়ম লাঘু হয়। এর জন্য যাতে অটো চালকদের ক্ষতি না হয় তাই ভাড়াও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই পর্যন্ত যাত্রীরাও নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই বাড়তি ভাড়া মেনে নেয়।
কিন্তু মাত্র ১ কিমি বা ১.২৫ কিমি রাস্তার জন্য ১০টাকা তাও ৫ জন যাত্রী অনেকের কাছে চাপের হয়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ, এমনটাই ঘটছে গড়িয়া সান্ধ্য বাজার থেকে নবশ্রী বাজার ও সান্ধ্য বাজার থেকে বিশ্ববানী রুটের অটোতে। করোনা পরিস্থিতির আগে ভাড়া ছিল ৭টাকা, তখন যাত্রী ছিল ৫জন। তাহলে এক ট্রিপ করলে মোট ভাড়া ছিল ৩৫টাকা। আনলকের পর ভাড়া হয়েছে ১০টাকা কিন্তু যাত্রী সেই ৫ জন, মানে এক ট্রিপে মোট ভাড়া হয়েছে ৫০টাকা। এই রুটের কোন ইউনিয়নের কমিটি নেই বলেও জানা যায়।যে কমিটি ছিল তা ভেঙে যায় এবং পরবর্তীতে কোন নতুন কমিটিও করা হয়নি। এব্যাপারে ৫ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা তরুণকান্তি মণ্ডলকে জানালে তিনি বলেন, আমি ছিলাম কিন্তু এখন আমি আর নেই। এই অভিযোগ অনেকে করেছে কিন্তু আমার কিছু উপায় নেই কারণ আমি এই ইউনিয়নের সাথে যুক্ত নই। স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে জয়ন্ত সেনগুপ্তকে জানানো হলে তিনি বলেন, এই রুটের কোন মাথা নেই যে এই নিয়ম চালু করবে। এব্যাপারে গড়িয়া টাউন আই এন টি টি ইউ সি আহ্বায়ক পিন্টু দেবনাথকে জানানো হলে তিনি বলেন, আমরা গড়িয়ায় সমস্ত অটোচালকদের জানিয়েছি করোনার কারণে ৫জন যাত্রী তোলা যাবে না, পিছনে শুধুমাত্র ৩ জন যাত্রী নেওয়া যাবে এবং তার জন্য ১০টাকা ভাড়া ধার্জ হয়েছে। গড়িয়া স্টেশন থেকে শীতলা মন্দির রুটে অটো চালকদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় নিয়ে একদিন অন্তর একদিন অটো চালানোর কথা বলা হয়েছে। তাঁরা সেভাবেই চালাচ্ছে। কিন্তু সান্ধ্য বাজার নরেন্দ্রপুর রুটের দায়িত্বে যারা আছে তারাই এই সমস্যার কথা বলতে পারবে।
এই বাড়তি ৩টাকা অনেক মানুষের কাছে চাপের হয়ে যাচ্ছে। মুখে না বললেও এটা তৃণমূল পরিচালিত ইউনিয়ন বলে সেই দলের উপর বর্তাবে বলেও মনে করছে অনেকে। করোনার কারণে যেখানে মানুষের কাজ কমেছে, রোজগার কমেছে, কাজ হারিয়েছে সেখানে অহেতুক এই বাড়তি ভাড়া চাপ সৃষ্টি করছে। যদি ৫জন নিতেই হয় তবে সেই পুরানো ভাড়া নেওয়া উচিত। আর যদি ১০টাকা নিতে হয় তবে ৩জন যাত্রী নেওয়া উচিত। এব্যাপারে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পাপাই দত্তকে জানানো হলে তিনি জানান, আমি এটা নিয়ে কথা বলবো এবং নেতৃত্বের সাথে আলোচনা করে এটা যাতে একটা সঠিক পদ্ধতিতে হয় সেই ব্যবস্থা করবো।এটা তো ঠিক কথা নয় যে মানুষের সুরাহার জায়গায় চাপ সৃষ্টি করবে।