পারিবারিক রক্ত বলে দেয়, আবার বুঝিয়ে দিলেন বৈশালী ডালমিয়া
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা নিউজ, কলকাতা, ৩রা নভেম্বর ২০২২ : বৈশালী ডালমিয়া বাংলায় যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে শুধুমাত্র তার বাবার পরিচয়ে নয়, তার নিজের কর্মে। বাবা জগমোহন ডালমিয়াকে সেই ছোটবেলা থেকে দেখেছেন মানুষের জন্য করতে, মানুষকে সাহায্য করতে, মানুষের পাশে থাকতে, আর তাই তার অবর্তমানে সেই রাস্তাতেই হাঁটছেন বৈশালী। রাজনীতি শুধুমাত্র নীতির লড়াই-এর জন্য কিন্তু সমাজসেবা শুধুমাত্র মানুষের পাশে থাকার চাহিদা। প্রতিবছর যে কোন উৎসবে তিনি মানুষের জন্য নিঃশ্বব্দে, প্রচারমুখী না থেকে সমাজসেবা করে যান। তিনি কিন্তু সমাজসেবা মানে আজকের রাজনীতির মত ফেসবুক লাইভ বা টুইট করে জানাতে চান না। মানুষের জন্য করবেন আর তা বাকি মানুষদের জানিয়ে করবেন কত লাইক হল আর কত ভিউ হল তার টি আর পি নেওয়ার জন্য কিন্তু নয়। আমরা বৈশালী ডালমিয়াকে অনেক অনুরোধের পর এই সংবাদ ছবি সহ প্রকাশ করতে পেরেছি। বাকি কোন সংবাদমাধ্যমে পাবেন না এই সংবাদ।
ছট উৎসবের দিন যখন অনেকে ফেসবুক ফলাও করে মানুষকে জানাতে ব্যস্ত মানুষের জন্য কি কি কাজ করছেন (কে ছট-এর সামগ্রী দিচ্ছেন, কেউ আবার বস্ত্র বিতরণ করছেন, কেউ আবার রক্তদান শিবির করছেন) তখন কিন্তু বৈশালী তার বেহালা পশ্চিমে বীরেন রায় রোডের বাড়ি থেকে এলাকার দুঃস্থ মানুষদের জন্য ১০০০ জনকে বস্ত্র বিতরণ করে চলেছেন। এবং সেই বস্ত্র বিতরণের কিন্তু ভিন্ন কায়দায়, থরে থরে রাখা আছে শাড়ি, যার যেটা পছন্দ সে সেটাই নিতে পারে। অনুষ্ঠানে মায়ের সাথে একমাত্র পুত্র সামিল হয়ে ব্রতী মানবকল্যানে।
একইভাবে শিশুদের জন্য তিনি একইভাবে দরদী। বারাকপুরের মুরাগাছা এলাকায় গৌরাঙ্গ গৌরীয় সেবাশ্রমে তিনি উপস্থিত হয়ে অনাথ শিশুদের হাতে কেক, চকলেট ও বিস্কুট তুলে দিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। তাদের উপলব্ধি করতে দেন নি যে তারা অনাথ। তিনি তাদের সাহারা হয়েছেন। এর আগেও তার এরকম নজির আরও রয়েছে। কারণ কিন্তু একটাই, পারিবারিক রক্ত বলে দেয় সবটাই। অর্থ থাকলেই সাধ, সাধ্য ও ইচ্ছে থাকে না।