প্রথম পাতা

রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫নং ওয়ার্ডে বেআইনি বাড়ি পৌরপিতার নির্দশে ভাঙছেন পৌরপিতা ঘনিষ্ঠ

অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা নিউজ, সোনারপুর, ১৮ই জুন ২০২২ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত ৩৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ ও তাঁর ইলেকশন এজেন্ট এক গৃহস্থের বাড়ি ভাঙছেন । পৌরসভার তরফ থেকে নয়, খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকাবুকো হিসেবেই অধিকার বলে এক গৃহস্থের বাড়ি ভেঙে দিচ্ছেন তৃণমূল কাউন্সিলার ঘনিষ্ঠ কারণ সেই বাড়ির গাথনি ঠিক পাঁচিলের উপর থেকে তোলা হয়েছে। যিনি এই বাড়িটি ভাঙছেন তিনি পাসের বাড়ির, তিনি কি ভাঙতে পারে? ওয়ার্ডের বহু অবৈধ বাড়ি নির্মাণ বিষয়ে পৌরপ্রধানের কাছে দুমাস আগে অভিযোগ জমা পড়েছে । কিন্তু পৌরসভার তরফ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ৩৫ নং ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষের অভিযোগ তৃনমুল কংগ্রেস পার্টি করলে পৌরসভার বিনা অনুমতিতে অবৈধ বাড়ি করা যায়। আর যারা তৃণমূল দল করে না তাদের এক কাঠা জায়গার ওপর বাড়ি নির্মাণ আটকে দেওয়া হয়েছে। একজন ফুচকাআলা ফুচকা বিক্রি করে একতলা বাড়ি করছিলেন , তাঁর বাড়িও আটকে দেওয়া হয়েছে। অথচ তারই কাছাকাছি তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ সিপিএমের পরিবারের এক নব্য তৃণমূল কর্মীর (2022) পাঁচতলা বাড়ি হচ্ছে উদয়নপল্লীতে, পৌরসভার কোনো অনুমতি ছাড়া। এই নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দুমাস আগে পুরপ্রধানের কাছে জমা পড়লেও এই অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি পৌরসভার তরফ থেকে। স্থানীয় বাসিন্দা লালন সিং অভিযোগ করেন – তাঁর বাড়ি দোতলার অনুমতি আছে, কিন্তু তিনি সম্প্রতি তিনতলা করছেন। বর্তমান তাঁকে পৌরসভা থেকে নোটীস পাঠিয়ে বাড়ির কাজ আটকে দেওয়া হয়েছে। ৩৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ ঐ এলাকার তৃণমূল দল ও নেতাদের ওপর অত্যন্ত বীতশ্রদ্ধ। (আমাদের কাছে সেই ভিডিও আছে যেখানে সে নেতার কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে হুমকির সুরে তিনি বাড়ি ভেঙে ফেলার কথা বলছেন।)

কিন্তু তিনি কেন ভাড়ি ভাঙতে যাবেন? বেআইনি যদি হয়ে থাকে তবে তা একমাত্র ভাঙার অধিকার বর্তায় পৌরসভার উপর। পৌরসভার পৌর প্রধান জানান, কোন বেআইনি বাড়ি নির্মানের অভিযোগ পেলে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেব। এব্যাপারে পৌরপিতা সুমন মন্ডলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই নির্মান সম্পূর্ণ বেআইনি এবং বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী আমার কাছে আসে। তার স্ত্রী অসুস্থ এবং তার চিকিৎসার জন্য আমি সাহায্য করি। এবার বলি লালন সিং যে দোতলার প্ল্যান দেখিয়ে পাঁচতলা নির্মান কাজ করছে তার বিরুদ্ধেও আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর নিচ্ছি বলেই অনেকের কাছে আমি গাত্রদাহ হয়ে উঠেছি। আমি কথা দিচ্ছি সবে চার মাস হয়েছে আমার পৌহরপিতা, আর দেড়টা বছর যদি আমায় এই ওয়ার্ডের মানুষ সময় দেয় আমি আমোল পরিবর্তন করে দেখাবো। রাস্তার কাজ ধরেছি, এশিয়ান ডেভেলপমেন্টের কাজ হবে, তখন মানুষ উন্নয়ন বুঝতে পারবে যা গত ৩৫ বছরে এই ওয়ার্ডের মানুষ দেখে নি। যে বাড়ির কথা বলা হয়েছে এই পারিবারিক ঝামেলা বহুদিনের, আমি পৌরপিতা হওয়ার আগে। আমি কালু সিং-কে পাঠিয়ে সেই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছি মাত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *