রাজ্যে লাগাতার দুর্জোগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য নাজেহাল মুখ্যমন্ত্রী
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৩০শে মে ২০২০ : আমফান পরবর্তী রাজ্যের পরিস্থিতি ও করোনা মোকাবিলা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান সিইএসসি জানিয়েছে, ৩৩ লক্ষ গ্রাহকের ৩২ লক্ষ ৭ হাজার গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ ফিরবে।
• আমফানের কারণে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতি করা হচ্ছে। দুই ২৪ পরগনায় আমপান পরবর্তী দুর্যোগ-পরিস্থিতি সামলাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করা হচ্ছে।টাস্ক ফোর্সে বিডিও-আইসি-বিধায়কেরা থাকবেন।জেলায় জেলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করা হচ্ছে। আমফানের জন্য রাজ্যের ৬০ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। জেলাশাসকদের বলব, ত্রাণসামগ্রী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।জল না সরলে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো যাবে না।রাজ্যের ৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরেছে।রাজ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।আমপানে সুন্দরবনের সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের ১০ লক্ষ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁদের সকলের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
• করোনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্র পরিযায়ীদের নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারত।এ ব্যাপারে আমি খুব চিন্তায় আছি। রেড, অরেঞ্জ, গ্রিন জোন মানলে এই সমস্যা হত না।ভিন্ রাজ্য থেকে যাঁরাই আসছেন, তাঁদের অনেকেই সংক্রমিত।করোনা এক সময় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। একসঙ্গে অনেক পরিযায়ী ঢুকছেন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়লে দায় কে নেবে? সংক্রমণ ঠেকাতে রেল মন্ত্রকের কোনও দায় নেই? আজ রাজ্য ১১টি ট্রেন আসছে, কাল ১৭টি ট্রেন। প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হস্তক্ষেপের জন্য।রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ লোক এসে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, চেন্নাই, দিল্লি থেকে পরিযায়ীরা আসছেন। এ সব জায়গা থেকে এলেই হোম কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। এ ছাড়া, স্কুলে স্কুলে কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। করোনা নিয়ে বিশেষ সতর্কতায় পাঁচ রাজ্য থেকে লোক এলে ঘরেই কোয়রান্টিন।
• দমকলকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করা হবে। সেই সঙ্গে ওই দমকলকর্মীর পরিবার থেকে এক জনকে চাকরি দেওয়া হবে। হাওড়ায় মৃত দমকলকর্মীর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। • হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দমকলকর্মীর মৃত্যু।