সাবলীল সারল্য তাঁকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে, ব্যাতিক্রমী মুখ্যমন্ত্রী মমতা
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৯ই অক্টোবর ২০১৯ : ভারতের আজ পর্যন্ত অনেক মুখ্যমন্ত্রীকে অনেকেই হয়তো সাক্ষাতে দেখেছেন বা তাঁর সান্নিধ্যে গেছেন কিন্তু আমার মনে হয় সারা ভারতে এরকম একজন মুখ্যমন্ত্রীকে মনে হয় কেউ দেখে নি। এমনই একজন সাবলীল মুখ্যমন্ত্রী যিনি উন্নয়নের কথা মাথায় নিয়ে মাটির সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যান তাদের দুঃখ কষ্ট ভাগ করে নিতে।
সাম্প্রতিক পুজোর ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ভোলেন নি সমাজের সেই মানুষগুলোর সাথে দেখা করে তাদের দুঃখের সময় কিছুটা আনন্দ দিতে। আজকের সমাজে প্রবীণ নাগরিকদের খুবই করুণ পরিস্থিতি। সন্তানদের হাজার ব্যস্ততার মধ্যে সময় নেই তাদের বৃদ্ধ বাবা-মা-কে দেখার। তাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে
দিয়ে তারা তাদের মত উন্মাদনা ও আনন্দে মেতে থাকতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ব্যস্ততার মধ্যেও এই মানুষগুলোর সাথে সময় কাটাতে ভোলেন না। প্রতিবার তিনি তাদের জন্য একটা সময় করে দেখে করতে যান যার ব্যাতিক্রম এবছরও হয় নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কলকাতার মেয়র তথা
রাজ্যের মন্ত্রী ফিরাদ হাকিমের বিধানসভায় অবস্থিত চেতলার নব নীর বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে অনেকটা সময় কাটালেন, শুনলেন তাদের দুঃখের কথা, আলাপ করলেন অসহায় মানুষগুলোর সাথে, ভাগ করে নিলেন তাদের সাথে কিছুটা পুজোর আনন্দ।পুজোর সময় মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে আশ্রমের বৃদ্ধারাও ছিলেন খুবই আপ্লুত।মমতা ব্যানার্জির এই সাবলীল সারল্য জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তুলে দিয়েছে। তিনি কখনই নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মনে করেন না। কোথাও রাস্তায় নেমে আহত মহিলাকে সাহায্য করতে নেমে যান আবার রাস্তায় কোন বৃদ্ধাকে দেখে তাকে সাহায্য করতে ছুটে যান আবার কোথাও নিজেই চা বানিয়ে সকলকে খাওয়ান আবার অন্যদিকে সকল শ্রেনীর মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য করার কথা ভাবেন। এমন মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যে সত্যিই বিরল। ছবি : চুনী পাল।