প্রথম পাতা

আমফান দুর্জোগের মধ্যে রাস্তায় নেমে গাছ কাটিয়ে গড়িয়ায় বিদ্যুৎ দপ্তরকে সাহায্য করলেন সি আই সি বিভাস (মনু) কিন্তু সমালোচনা তুঙ্গে

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২রা জুন ২০২০ : গত ২০শে মে রাজ্যে আমফান সব তছনছ করে দিয়েছে। রাজ্যের সাতটা জেলা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যার মধ্যে দঃ ২৪ পরগণায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক বেশি। তবে দঃ ২৪ পরগণার মধ্যে সোনারপুর উত্তর বিধানসভা শহর ঘেঁষা হলেও এখনও অনেক জায়গায় গ্রামের ছোঁয়া থেকে গেছে। তাই এখানে কাঁচা ঘরের সাথে যেমন উপড়ে পড়েছে গাছ এবং গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে মানুষের অবস্থা আরও খারাপ করে দেয়।

এই বিধানসভায় ঘর বাড়ির ক্ষতি যতটা না হয়েছে তার থেকে গাছ ভেঙে পড়ে মানুষের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কারণ এখানে ৫দিন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে মানুষ।সেই সময় সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মূল সংগঠক নজরুল আলি মন্ডল দিনরাত এক করে সরাসরি ময়দানে নেমে গোটা সোনারপুরের বিদ্ধস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়েছিলেন। নজরুল আলি মন্ডল বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করে গিয়েছেন যাতে মানুষ দ্রুত বিদ্যুৎ পায়, তাঁর এই প্রচেষ্টাকে দ্রুত করার জন্য গড়িয়া স্টেশনে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৬টা ওয়ার্ডের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগকে এক ধাপ এগিয়ে দিতে সহযোগিতা করেছে সোনারপুর উত্তর বিধানসভার তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পাপাই দত্ত, পিন্টু দেবনাথ, অরিন্দম দত্ত সহ অনেকে।কিন্তু রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা তথা টাউন সভাপতি বিভাস মুখার্জিকে শুধুমাত্র তাঁর ৪ নং ওয়ার্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা গেছে।বিভাস মুখার্জি কিন্তু বর্তমান পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া বোর্ডের প্রশাসকমন্ডলীর সদস্য, কিন্তু তাঁকে সেই ভুমিকায় না দেখা গেলেও পাঁচপোঁতার রাস্তায় নেমে শুধুমাত্র গাছ কাটানোর ব্যবস্থা করেছেন এই বিদায়ী পৌরপিতা তথা সি আই সি বিভাস মুখার্জি (মনু)। তিনি ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত না পৌঁছাতে পারলেও গড়িয়া স্টেশন মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করেন।অবশেষে নজরুল আলি মন্ডল, পাপাই দত্ত-র অক্লান্ত পরিশ্রমের কাছে মনু মুখার্জির এই উদ্যোগ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করে বলেন করোনা লকডাউন থেকে আমফান পর্যন্ত তাঁকে শুধুমাত্র তাঁর নিজের ৪ নং ওয়ার্ড বাদে অন্য কোন ওয়ার্ডে দেখা যায় নি।যখন গোটা গড়িয়ার মানুষ ৫দিন জলহীন অবস্থায় দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছে তখন একজন টাউন সভাপতির ভূমিকা কি তবে একটা ওয়ার্ডে সীমাবদ্ধ? যেখানে ১ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা পাপিয়া ও ৩ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা অশোকা মহিলা হয়ে তাঁর থেকে অনেক বেশি উদ্যোগী ছিলেন।কিন্তু সব সমালোচনাকে উপেক্ষা করে মনু মুখার্জি বলেন, মানুষের স্বভাব সমালোচনা করার, তা রোখা যায় না, কিন্তু আমি মানুষের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করি, উন্নয়ন করি। আমার ওয়ার্ডে যেভাবে উন্নয়ন করেছি মানুষের কিছু বলার জায়গা রাখি নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *