হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন তৃণমূল প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২০২০ : নেতাজি পরিবারের অন্যতম সদস্য ডাঃ শিশির কুমার বসু-র স্ত্রী কৃষ্ণা বসু হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাইপাস সংলগ্ন মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি হন ১৭ই ফেব্রুয়ারি। ডাঃ কুনাল সরকারের নেতৃত্বে এক মেডিক্যাল দল তাঁর চিকিৎসা করছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হন, এবং পরিস্থিত আরও মারাত্মক হয়ে যায়।আজ সকাল ১১.২০ মিনিটে তিনি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯। তিনি ২৬শে ডিসেম্বর ১৯৩০ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা চারু চন্দ্র চৌধুরী এবং মা ছায়া দেবী চৌধুরী। ১৯৬৬ সালের ৯ই ডিসেম্বর ডাঃ শিশির কুমার বসু-র সাথে বিবাহ হয়। শিশির কুমার বসু নেতাজির দাদা শরৎ চন্দ্র বসু-র পুত্র ছিলেন। ডাঃ শিশির কুমার বসু নেতাজিকে ১৯৪১ সালে এলগিন রোডের বাড়ি থেকে ইংরেজের চোখে ধুলো দিয়ে ভারত ত্যাগ করে পাকিস্থানের পেশাওয়ার হয়ে ছদ্মবেশে পালাতে সাহায্য করেছিলেন।
কৃষ্ণা বসু কলকাতার সিটি কলেজে ৪০ বছর ইংরাজি বিষয়ের প্রধান অধ্যাপিকা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন ৮ বছর। তিনি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের চেয়ারপার্সেন ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তিনবারের সাংসদ ছিলেন।মৃত্যুকালে তিনি দুই পুত্র প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসু, সুমন্ত্র বসু এবং কন্যা শর্মিলা বসুকে রেখে যান। তিনি নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে বহু রিসার্চ করেন এবং বিতর্কের মুখে পড়েন কারণ আজও পর্যন্ত নেতাজির অন্তর্ধানের রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেন নি। শুধু কেন্দ্র সরকারের অর্থে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মাত্র। নেতাজিকে সামনে রেখে তিনি ও তাঁর পরিবার রাজনীতির শিখড়ে চড়েছেন মাত্র।নেতাজি কন্যা অনিতাকে নিয়ে তাঁর বিভিন্ন সময়ের মন্তব্য নিয়ে বহু বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেকের মতে তিনি নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য উদ্ঘাটন করতে গিয়ে কংগ্রেসকে শুধুমাত্র সাহায্য করেছেন যাতে আসল রহস্য প্রকাশ্যে না আসে।