প্রথম পাতা

ডেনমার্ক সবুজায়ন, কর্মসংস্থান দিয়ে ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে চায়

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ :  ভারত এবং ডেনমার্কের সম্পর্কের মধ্যে সূচনা হয়েছে এক নতুন যুগের। এর ভিত্তি হল গ্রিন স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ যার লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী। এই পার্টনারশিপ বা অংশীদারিত্বের ওপর নির্ভর করে ডেনমার্ক ভারতকে দেবে টেকসই সমাধান। গ্রিন স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ এমন একটা চুক্তি যাতে উপকৃত হবে দুই দেশই। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটবে, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রসারিত হবে, বিকাশ হয়ে উঠবে পরিবেশ বান্ধব, সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান, বিশ্ব পরিসরে নতুন নতুন যে সব চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ এসে হাজির হচ্ছে সেগুলোর মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করবে। এক্ষেত্রে জোর পড়বে প্যারিস চুক্তি এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সাসটেনেবেল ডেভেলপমেন্ট গোল কর্মসূচি কার্যকর করার ওপর। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডারিকসেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর যে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন করেছিলেন সেই সম্মেলনে যে দিশার কথা বলেছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা, সেই দিশাতেই এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে যে বিশ্বজোড়া লড়াই সেই লড়াইয়ের সামনের সারিতে থাকার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ভারত ও ডেনমার্ক। জলবায়ু ও শক্তি বিষয়ে দুই দেশই বেশ বড়সড় জাতীয় লক্ষ্য স্থির করেছে। এর ফলে দুই দেশই প্যারিস চুক্তি কার্যকর করার ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এই দুই দেশ একসঙ্গে বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে যে, জলবায়ু ও টেঁকসই জ্বালানির বিষয়ে উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা এবং তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব।

কলকাতায় ডেনমার্কের সম্মানীয় কনসাল জেনারেল স্মিতা বাজোরিয়াকে দেওয়া হবে নাইটহুড। ডেনমার্কের রানির তরফে এই সম্মাননা প্রদান করবেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হিজ এক্সেলেন্সি ফ্রেডি স্বানে। শ্রীরামপুরে ডেনমার্কের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে কার্যকর সেরামপুর ইনিশিয়েটিভ-এর জন্য দেওয়া হবে এই সম্মান। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দিল্লির ডেনমার্ক দূতাবাস ইন্দো-ড্যানিশ গ্রিন স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ বিষয়ে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ডেনমার্কের দ্য সেরামপোর ইনিশিয়েটিভ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৮ সালে।  লক্ষ্য ছিল, শ্রীরামপুরে ভারতডেনমার্ক ইতিহাসের যে স্মৃিতগুলি রয়ে গেছে সেগুলিকে চিহ্নিত করা এবং সেই আমলের কিছু বাছাই করা ভবনের সংস্কার করা। এই কর্মসূচির আরও লক্ষ্য ছিল, ভারত– ডেনমার্ক ইতিহাসের সাধারণ বিষয়গুলি সম্পর্কে জ্ঞান আরও প্রসারিত করা এবং স্থানীয় সংস্থাগুলির সহায়তায় তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

কলকাতায় ডেনমার্কের সম্মানীয় কনসাল জেনারেল স্মিতা বাজোরিয়া এবিষয়ে উদ্যোগ নেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নগর উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন যাতে গভর্নর হাউস ভেঙে ফেলা না হয়। একইসঙ্গে দ্য ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ডেনমার্ক এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হেরিটেজ কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি গভর্নর হাউসের সংস্কারের জন্য সক্রিয় হন।

এই প্রকল্পে যেসব ব্যক্তি ও সংস্থার স্বার্থ জড়িত রয়েছে তাদের সঙ্গে দ্য ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ডেনমার্কের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন স্মিতা বাজোরিয়া। বিশপ অফ চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার অধীনে রয়েছে সেন্ট ওলাভস চার্চ। সেই গির্জার সংস্কারের জন্য দ্য ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ডেনমার্কের সঙ্গে বিশপের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।

সেরামপোর ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসাবে দ্য গভর্নর হাউস, সেন্ট ওলাভস চার্চ এবং সেরামপোর কলেজের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে।প্রচারে : মিডিয়াশাইন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *