গড়িয়াতে দুশ্চিন্তার জট কাটিয়ে স্বস্তির খবর, পার্থ ও পাপিয়া করোনা মুক্ত, সাথে কর্মীরাও
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ৮ই জুলাই ২০২০ : রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পৌরমাতা পাপিয়ার স্বামী পার্থ হালদার (দঃ ২৪ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরি সভাপতি ও যুবশক্তি-র ৪র্থ জোনের জোনাল হেড) জুন মাসে জ্বরে ভুগেছিলেন মাত্র ২দিন। এরপর তিনি দলীয় কাজ বাড়ি থেকে ও নিজের অফিস থেকেই করছিলেন। কিন্তু পার্থ-র জ্বর শুনে অনেকেই থমকে গিয়েছিলেন। কিন্তু করোনা পরীক্ষা করার পর যখন জানা গেল করোনা পজেটিভ তখন অনেকেই ভেঙে পড়েছিলেন এমনকি এই খবর গোটা জেলা সহ পার্থ-র দায়িত্বে থাকা বাকি দুটো জেলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। কথাটা পার্থ নিজের নেতা সাংসদ ও সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জিকে জানালে তিনি বাড়িতে বিশ্রামে থেকে দলের কাজ করার উপদেশ দেন। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে তাঁর সান্নিধ্যে থাকা কর্মীদের নিয়ে। পার্থ সাথে সাথে দায়িত্ব নিয়ে তাঁর খুবই ঘনিষ্ট তিনজন কর্মীর করোনা পরীক্ষা করালে নেগেটিভ আসে। কিছুটা স্বস্তির মুখ দেখলো শ্রীনগরের দলীয় কার্যালয়।
এবার পার্থ দ্বিতীয়বারের জন্য করোনা পরীক্ষা করালে তাঁর রিপোর্ট আজ পৌঁছালে স্বস্তি দিল গোটা শ্রীনগর সহ জেলায়। পার্থ-র প্রথমবার পজেটিভ হলেও দ্বিতীয়বার তা নেগেটিভ হয়। এর সাথে পৌরমাতা পাপিয়ার দুবারের রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। এছাড়া সুশোভন মন্ডল ও শিবু নায়েকের রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। দুশ্চিন্তার জট কাটলো গড়িয়া স্টেশন সহ শ্রীনগরের পার্থ-র শুভাকাঙ্ক্ষীদের। আমরা আমাদের খবরের সাথে পার্থ ও পাপিয়ার সর্বশেষ পাওয়া রিপোর্ট প্রকাশিত করলাম, সাথে পার্থ-র সান্নিধ্যে থাকা দুজন কর্মীর রিপোর্টও প্রকাশ করলাম।এর আগেও আমরা পাপিয়া হালদারের করোনা মুক্ত-র সংবাদ প্রকাশ করেছিলাম, আবার দুজনের করোনা মুক্ত রিপোর্ট প্রকাশ করলাম।
পাপিয়া কিন্তু ক’দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় নীচের ছবিটা পোস্ট করে লিখেছিলেন, আমরা দুজনে সুস্থ ও ভাল আছি। বাস্তবে তাই হল।তবুও আতঙ্ক তো পিছু ছাড়ছে না, এরমধ্যেই আবার বেশ কিছু এলাকায় পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।