মেয়াদ শেষ হলেও মানুষের কথা চিন্তা করে বর্ষার আগে নালা নিকাশি নিয়ে জোর তৎপরতা রাজপুর সোনারপুরের পৌরমাতা অশোকার
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ২২শে জুন ২০২০ : বর্ষা প্রায় নেমেই গেল বলা যেতে পারে। আর বর্ষা আসা মানেই রাজপুর সোনারপুর পৌরসভা অন্তর্গত গড়িয়া স্টেশন চত্বরে যে সমস্ত ওয়ার্ড আছে তা প্রায় জলমগ্ন হয়ে যায়।এর প্রধান কারণ হল এই অঞ্চলের ভৌগলিক রূপরেখা। এই অঞ্চলটা ঠিক একটা কড়াই-এর মত। তাই জল জমাটা স্বাভাবিক নিয়ম।
এই কারণে রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার মেয়াদ শেষ হলেও এখন নির্বাচন করে হবে তার কোন সরকারি সিদ্ধান্ত হয় নি।বর্তমানে এই পৌরসভা প্রশাসক দিয়ে চালিত আর সেই প্রশাসক এই পৌরসভার পৌর প্রধান ডাঃ পল্লব দাস এবং তাঁর প্রশাসকমন্ডলী এই পৌরসভার ৫ জন সি আই সি।লকডাউন থেকে আনলক হতেই রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার প্রশাসকমন্ডলীর অন্যতম সদস্য নজরুল আলি মন্ডল নিকাশি ব্যবস্থার দিকে বেশি নজর দিয়েছেন কারণ বর্ষা চলে এসেছে।
রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করতে সবুজ সংঘের সামনে যে বড় নালা আছে তা সংস্কার করতে নেমে পড়েছেন এই ওয়ার্ডের বিদায়ী পৌরমাতা এবং বর্তমানে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর অশোকা মির্ধা। তিনি তিনদিন ধরে রাত ১১টা থেকে জেসিপি আনিয়ে সবুজ সংঘের নালা পরিষ্কার করাচ্ছেন। এই নালা পরিষ্কার হলে এই এলাকার অধিকাংশ বর্ষার জমা জল নিকাশি হবে বলে মনে করেন অশোকা। এই অঞ্চলটা খুব নীচু হওয়ার কারণে বর্ষার জল জমে থাকে এবং মানুষের বাড়িতেও কখনও জল ঢুকে যায়। তাই বর্ষার শুরুতেই পৌরমাতা না থাকলেও মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিজে দায়িত্ব নিয়ে তা পরিস্কারের সাথে সংস্কারও করাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি চিরকালই মানুষের কথা চিন্তা করেই উন্নয়নের কাজ করেছি আগামীদিনেও করবো। যাদের কুৎসা ছড়ানো আর সমালোচনা করার প্রবণতা আছে তাঁরা তাদের কাজ করবেই। মানুষ জানে ওয়ার্ডের জন্য কে কি কাজ করে।কেউ টাকা না পেলেই যদি ফেসবুকে কুৎসা রটায় আর সমালোচনা করে সঠিক সময়ে তাঁর উচিত জবাব মানুষ দেবে, আমায় কিছু বলতে হবে না। আমি বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মূল সংগঠক নজরুল আলি মণ্ডলকে শুধু চিনি। তাদের নির্দেশ মত ও মতামত নিয়েই ওয়ার্ডের যে কোন উন্নয়নের কাজ করি। আমাদের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম সব সময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেন, উন্নয়ন করেন।তাঁদের থেকেই শেখা কিভাবে মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন করতে হয়।