জেআইএস গোষ্ঠীর জি এন আই টি-র দ্য ইন্সটিটিউট’স ইনোভেশন কাউন্সিল আয়োজন করল প্রুফ অফ কনসেপ্ট এবং অটল র্যাঙ্কিং অফ ইন্সটিটিউশস ইন ইনোভেশন অফ অ্যাচিভমেন্ট
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ১৬ই আগস্ট ২০১৯ : ‘সাংস্কৃতিক উৎকর্ষই জন্ম দেয় উদ্ভাবনী শক্তির। উৎকর্ষ হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোনও স্বপ্ন পূর্ণ করতে কোনও ব্যক্তি অথবা রাষ্ট্র যখন একটু ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে।’ এমনই বলেছিলেন প্রয়াত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডাঃ এ পি জে আব্দুল কালাম।
পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী শক্তিতে আরও শান নিতে বিশেষ উদ্যোগ নিল কলকাতার জেআইএস গোষ্ঠীর গুরু নানক ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি। প্রতিষ্ঠানর দ্য ইন্সটিটিউট’স ইনোভেশন কাউন্সিল (আইসিসি) মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (এমএইচআরডি) এবং এআইসিটিই–এর সহযোগিতায় আয়োজন করল একদিনের বিশেষ কর্মশালা। বিষয়বস্তু ছিল প্রুফ অফ কনসেপ্ট (পিওসি) এবং অটল র্যাঙ্কিং অফ ইন্সটিটিউশস ইন ইনোভেশন অফ অ্যাচিভমেন্ট (এআরাইআইএ), আইআইসি ২.০। ১৩ আগস্ট ওই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
দেশের উত্তর–পূর্ব–সহ বিভিন্ন অংশের শ’তিনেক প্রতিযোগী সেখানে অংশ নিয়েছিলেন। এ রাজ্যের পাশাপাশি যোগ দিয়েছিলেন আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, সিকিম, ওডিশা, আসাম, ঝাড়খন্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা বিহার এবং ছত্তিসগড়। গুরু নানক ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি হল একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা এই কর্মশালা এবং মেন্টরিং সেশনের আয়োজন করেছে। মেন্টরিং সেশনে ১৩১টি প্রুফ অফ কনসেপ্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জেআইএস গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সর্দার তরণজিৎ সিং বলেন, ‘সব সময় আরও জানার চেষ্টাই খুলে দেয় উদ্ভাবনের পথ। সেইসঙ্গে লাগে অভিজ্ঞতা এবং মত বিনিময়। এই কনক্লেভ শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের নয়, সমৃদ্ধ করবে সব প্রতিযোগিদের।’
আইআইসি–এমাইসি, এমএইচারডি, এআইটিসিই–র প্রতিনিধিদল এবং নির্দিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা থট শাওয়ারিং, কনসেপচুয়ালাইজিং বিজনেস মডেল অ্যান্ড অনকিউবেশন, টেকনোলজি কমপ্যাটাবিলিটি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ চলার সময় পড়ুয়াদের সম্বর্ধনা দেয়। সেরা উদ্ভাবনী শক্তি এবং শিল্পোদ্যোগীদেরও সম্মানিত করা হয়। তাঁদের সম্বর্ধনা দেন প্রুফ অফ কনসেপ্টের বিশিষ্টরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অর্ধে অটল র্যাঙ্কিং অফ ইন্সটিটিউশস ইন ইনোভেশন অফ অ্যাচিভমেন্ট (এআরাইআইএ) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এই প্রকল্পটি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (এমএইচআরডি)–এর একটি উদ্যোগ। যাতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী এবং শিল্পোদ্যোগের নিরিখে মাপা যায়, তার ক্রম তৈরি কার যায়। পড়ুয়াদের আইআইসি ২.০ সম্পর্কে জানানো হল। এই নতুন ধারণা দেওয়া এবং প্রক্রিয়াগুলির সংস্পর্শে আসার ফলে তাঁদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
কলকাতার গুরু নানক ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যক্ষ অধ্যাপক শান্তনুকুমার সেন বলেন, ‘আমরা পিওসি, আইআইসি ২.০ অ্যান্ড এআরাইআইএ ২০২০এর মতো অনুষ্ঠানের আয়োজক হতে পেরে খুব খুশি। প্রতিষ্ঠানের দ্য ইন্সটিটিউট’স ইনোভেশন কাউন্সিলের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পড়ুয়াদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধি, স্টার্ট আপের আরও আগ্রহ পাবেন বলে মনে করি। এখানকার পড়ুয়াদের সব সময় নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যাপারে জানানোর চেষ্টা করা হয়।’ প্রচারে : গ্রে ম্যাটার্স।