সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে ভাইফোঁটা দিলেন সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১৭ই নভেম্বর ২০২০ : ভাইফোঁটা মানেই দিদির সাথে দাদা বা ভাই-এর একটা আন্তরিক বন্ধন।গতকাল সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম দ্বিতীয় বছরের জন্য ভাইফোঁটা উৎসবের আয়োজন করেন। ফিরদৌসী বেগম তাঁর বিধানসভার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাঁর পরিচিত দাদা ও ভাইদের নিমন্ত্রণ জানান এই বিশেষ দিনে।
এবছর ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানে গ্রীনপার্কে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্রপুর থানার আধিকারিক সুখময় চক্রবর্তী, কানাই কর্মকার, দেবাশিস দাশ, প্রদীপ চক্রবর্তী, পাপাই দত্ত, শ্রীমন্ত নস্কর, পিন্টু দেবনাথ, গণেশ প্রসাদ, বিশ্বজিত সাউ, রণজিৎ দাস, সুপ্রিয় দে, অরিন্দম দত্ত, অরুণ রায়, সুকান্ত মন্ডল সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে সুজিত ঘোষ, আবদুল আওয়াল, পুলকেশ রায় এবং সাংবাদিকরা।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি প্রবীর সরকার, বিদায়ী পৌরপিতা বিভাস মুখার্জি, বিশ্বজিত দে, সঞ্জিত চ্যাটার্জি, অভ্র মুখার্জি, গৌরহরি দাস সহ পঞ্চায়েত সমিতি কর্মাধক্ষ্য শেখ মুস্তাক সহ স্থানীয় গ্রীনপার্ক দুর্গোৎসব কমিটির সদস্য সহ অনেকে।
ফিরদৌসী বেগম ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন নরেন্দ্রপুর থানার আধিকারিক সুখময় চক্রবর্তীকে ফোঁটা দিয়ে, এরপর এক এক করে সকলকে ফোঁটা দেন এবং সব শেষে সকলের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। তিনি এই বিশেষ দিনে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সব ধর্মের মানুষকে একসাথে নিয়ে চলার কথা বলেন, তাই এই একটা অনুষ্ঠানে সব ধর্মের দাদা ও ভাইদের একসাথে করে
একটা জনসংযোগ স্থাপন করা হয়। আমরা যে একটা অভিচ্ছেদ্য পরিবার এটাই তার প্রমাণ।আমাদের লড়াই সকলকে নিয়ে, আমাদের পথচলা সকলের সাথে, আমাদের সবটাই মানুষকে নিয়ে ও মানুষের জন্য।এই একটা দিনে সকলকে ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করা যায়। অনেকে আমায় বিভিন্ন পরিচয়ে ডাকে, কেউ বলে দিদি, কেউ বলে বৌদি, কেউ বলে ভাবি, কেউ বলে বোন, কেউ বা আবার কন্যার মত দেখে।এই অনুষ্ঠানে তাই সকলকে একসাথে করে সেইসব মানুষদের একটু সম্মান প্রদান এবং আশির্বাদ দেওয়া হয়।আমি সকলের আশির্বাদ ও ভালোবাসা নিয়ে মানুষের পাশে থাকতে চাই।