প্রথম পাতা

বিজেপি-র অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক নেতৃত্বের সাথে অনলাইনে গুরত্বপূর্ণ ভিডিও কনফারেন্সে আজ ফিরদৌসী

অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, সোনারপুর, ১০ই মে ২০২০ : একদিকে করোনার দাপটে একদিকে মানুষ দিশাহারা আর অন্যদিকে বিরোধীরা রাজ্যের রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে এবং করোনার আসল তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে রাজ্য রাজনীতিকে এই মহামারী অবস্থার মধ্যে আরও অস্থির করে তুলেছে। তাই সামনে যখন রাজ্যের বহু পৌরসভার মেয়াদ শেষের মুখে তখন আজ এই জরুরী ভিত্তিতে রাজ্যের অনেক বিধায়ক সহ মন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সাংগঠনিক আলোচনা করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, প্রশান্ত কিশোর ও তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে সভাপতি সুব্রত বক্সি।

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় করোনা সংক্রান্ত রাজ্যের মানুষকে বিজেপির এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কথা ওঠে।দলীয়ভাবে এবার সিদ্ধান্ত হয় বিজেপির এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দলের সকলকে রাস্তায় নামতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে। এছাড়া রাজ্যের মানুষকে রেশনিং ব্যবস্থা নিয়েও বিজেপি বিভ্রান্তিতে ফেলছে। রাজ্যের মানুষকে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি এমনই অভিযোগ উঠে আসে আজকের এই আলোচনায়। এছাড়া রাজ্যে যখন লকডাউন পরিস্থিতি চলছে যার ফলে মানুষ দিশাহার, কর্মহারা হয়ে অধিকাংশ মানুষ খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে, আগামীদিনে দলের কি কর্মসূচী হবে বা কিভাবে এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করা যাবে তাই নিয়েও আলোচনা হয়। এছাড়াও রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় বহু অসহায় পরিযায়ী শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ লকডাউনের জন্য আটকা পড়ে আছে তাদের নিজেদের ঘরে পাঠানো নিয়ে যেমন আলোচনা হয় তেমনই ভিন রাজ্যের মানুষ এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আঁটকে আছে তাদের পাঠানো নিয়েও আলোচনা হয়।লকডাউনের কারণে আজকের এই ভিডিও কনফারেন্স আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও সোনারপুর উত্তরের মূল সংগঠক ও সি আই সি নজরুল আলি মন্ডল।

এছাড়াও এই লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকা নিয়েও আলোচনা হয় এই কনফারেন্সে। বিধায়ক হিসাবে ফিরদৌসী বেগম লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে যেভাবে মানুষের পাশে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করেছেন তাতে বিধানসভার মানুষ সন্তুষ্ট।এরছাড়া সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম প্রায় ৩০০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বিভিন্ন জেলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। ফের আবার বিধায়ক উদ্যোগী হয়েছেন ঈদের আগে আরও কিছু শ্রমিককে তাদের জেলায় পাঠানোর জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *