সোনারপুর উত্তরে মানুষ বুঝিয়ে দিল উন্নয়নই শেষ কথা, গদ্দারের বুকনি নয়
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর, ২রা মে ২০২১ : অনেক বড় বড় সংবাদমাধ্যম যারা নিজেদের দাবি করেন ভারতের প্রথম সারির চ্যানেল তাদের বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে এক্সিট পোলকে ঝামা ঘষে দিয়ে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের পক্ষে রায় দিয়ে। কেউ বলেছিল তৃনমূল ১৩৪, কেউ বলেছিলেন তৃনমূল ১৪৮ আবার কেউ বলেছিলেন ১৭২টা আসন পাবে। কিন্তু বাস্তবে তৃনমূল রাজ্যে ২০১টা আসনে এগিয়ে।তৃনমূল থেকে প্রতিবাদ করে যারা তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে এমন দাবি করেছিলেন এবার তৃনমূল দলটাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা তো একটা ছোট্ট সংবাদমাধ্যম, তাই আমরা মৌখিক বলেছিলাম তৃনমূল একক শক্তি নিয়ে সরকার গড়বে। আমরা আমাদের পরিচিত তৃনমূল নেতৃত্ব থেকে কর্মীদের বলেছিলাম তৃনমূল ১৯৫-১৯৮ টা আসন পাবে। সব বড় সংবাদমাধ্যমদের থেকে আমরা একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি। আমরা গতকাল রাতে জানিয়েছিলাম সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় আবার তৃতীয়বারের জন্য ফিরদৌসী বেগম জয়ী হবে এবং কম করে ২১ হাজার ভোটে জয়ী হবে।
সোনারপুর উত্তর বিধানসভায় ১১ রাউন্ডের পর ফিরদৌসী বেগম ২০০০০ ভোটে এগিয়ে আছেন ফিরদৌসী বেগম। এর থেকে বোঝা গেল সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ও মানবিকতার পক্ষে রায় দিয়েছে। আমরা আগাগোড়াই বলেছিলাম এরকম মানবিক, সরল ও উন্নয়নমুখী ফিরদৌসী বেগম ৩৫৭৪৭ ভোটে (পোস্টাল ভোট বাদে) জয়ী হলেন।গত দুবারের সব রেকর্ড ভেঙে এবার ফিরদৌসী বেগম জয়ী হলেন। মানুষ বুঝিয়ে দিলেন তৃনমূল থেকে সুবিধা কায়েম করতে বিজেপিতে যোগ দিলেই জয়ী হওয়া যায় না। মানুষ বিঝিয়ে দিল জনমুখী বিধায়ক চায়, কোন বুকনিবাজ, সুবিধাবাদ, ধান্ধাবাজ বিজেপি বিধায়ক নয়।এবারের বিজেপি প্রার্থী রঞ্জন বৈদ্য-র রাজনৈতিক পরিচয় দিয়েছিলেন আজকের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম আর তাকেই বিজেপিতে গিয়ে আক্রমণ করেছিলেন তোলাবাজ, কাটমানিরদল বলে। মানুষ এটাকে মেনে নিতে পারে নি। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে। এরপর দায়িত্ব বেড়ে গেল বলে জানান ফিরদৌসী বেগম। তিনি বলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভার মানুষের কাছে এই আশির্বাদের জন্য কৃতজ্ঞ। আজ মানুষ প্রমান করে দিলেন মমতা ব্যানার্জির উপর মানুষের কতটা ভরসা আছে। মানুষের এখনও মমতা ব্যানার্জির উপর আস্থা আছে। মানুষ তৃনমূল সরকারের উন্নয়নের যে সুবিধা পেয়েছে আর তাই সেই উন্নয়নকে আবার চাইছে। বিজেপি যে ভাবে মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে “দিদি, ও দিদি” বলে ঠাট্টা করেছেন তা ভাল ভাবে মেনে নিতে পারে নি, উচিত জবাব দিয়েছে।