বিধায়ক না হতেই সব বিতর্কের উর্দ্ধে গিয়ে মানুষের পাশে থাকলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা নিউজ, বরানগর, ৮ই মে ২০২৪ : তৃণমূল কংগ্রেস জানে কথা দিলে কথা রাখতে হয়। আর তাই বিরোধীদের সব বিতর্ক, সব সমালোচনা, সব কটাক্ষকে উর্দ্ধে রেখে তা প্রমাণিত করলেন বারাহনগর বিধানসভার উপনির্বাচন তৃণমুল কংগ্রেস তারকা প্রার্থী সায়ান্তিকা ব্যানার্জি। নির্বাচনের আগেই বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ সায়ন্তিকাকে নিয়ে কটাক্ষের সাথে অনেক মন্তব্য করেছেন, এমনকি ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েন নি কিন্তু সায়ন্তিকা এসবকে কোন আমল না দিয়ে দুবেলা জোর কদমে প্রচার চালিয়েছেন।
মানুষের দরজায় ভোট ভিক্ষা করেছেন, আশীর্বাদ চেয়েছেন, হয়ে উঠতে চেয়েছেন বরানগরের ঘরের মেয়ে। মানুষকে কথা দিচ্ছেন পাশে থাকার এবং জনসাধারণের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শুনছেন এবং তা নোট করছেন নিজের নোট-প্যাডে।
এর আগে বরানগর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বরানগর জুটমিলে সকালে আগুন লেগে যায়। ঘটনাটি শোনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌছান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়ন্তিকা ব্যানার্জী, ঘটনার তদারকি করেন এবং শ্রমীকপক্ষ-মালিকপক্ষ উভয়ের সাথে কথা বলেন।
তারপরেও রামকৃষ্ণ পূরমে অধিক রাতে ট্রান্সফর্মার থেকে আগুন লেগে গেলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে ছুটে যান। দমকল কর্মীদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করেন।
সম্প্রতি শ্রমিক দিবসের দিন তাকে দেখা যায় বরানগরের জুট মিলে পতাকা উত্তোলন করতে। পাশাপাশি শ্রমিকদের সাথে কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন “আমার শ্রমিক ভাইদের আমি কথা দিয়েছি, তাদের সেই আন্দোলনে আমি তাদের পাশে থাকব এবং তাদের কন্ঠ হয়ে আমি আমাদের নেত্রী অব্দি তাদের বার্তা পৌঁছে দেব”। উপনির্বাচনের জয়ী হওয়ার আগেই দায়িত্ব পূরণ করলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা। বরাহনগর জুট মিলের পাঁচ জন কর্মীকে কাজ ফিরিয়ে দিলেন তিনি। ফিরে পাওয়ার চাকরি কর্মীদের নাম আব্দুল হাসান আনসারী, রবি শাহ, কৃষ্ণ যাদব ,পাপ্পু দাস ,শক্তি দাস। চাকরি ফিরে পেয়ে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃণমুল প্রার্থী সায়ন্তিকাকে।
ওপরের এতগুলো ঘটনার যে বর্ণনা দিলাম এর কোনোটাতেই কিন্তু দেখা যায় নি সেই মানুষটিকে যিনি সবার কাছে গিয়ে বলছেন “আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে আপনাদের হয়ে কাজ করতে চাই, সমস্যার সমাধান করতে চাই” সেই বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে। শুধু মুখেই বলা পাশে থাকবো, সমাধান দেখবো, আগামী দু বছর আপনারা দেখুন চেষ্টা করছি কিনা তারপর আবার নির্বাচন এলে বিচার করবেন।
কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা ইতিমধ্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি শুধু মুখে নয় কাজে করে দেখাবেন, আর দেখালেও তাই। সায়ন্তিকা পরীক্ষা দিতে আসেন নি বরানগরে তিনি ইতিমধ্যে পরীক্ষিত। সজল ঘোষ যে অভিযোগ তুলেছিলেন যে সায়ন্তিকা অভিনয় করবে, সাজুগুজু করবে নাকি বিধানসভায় এসে কাজ করবে তাকে মুখে নয় কাজে উত্তর দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন বরানগরের মানুষকে। এটাই নিঃশব্দ বিপ্লব।