চলে গেলেন সোনারপুরের বর্ষীয়ান তৃনমূল নেতৃত্ব মাখন চক্রবর্তী, শেষশ্রদ্ধা জানালেন বিধায়ক
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা, সোনারপুর, ১৭ই আগস্ট ২০২২ : মাখন চক্রবর্তী সোনারপুর এলাকায় একসময় আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দীর্ঘদিনের ছায়াসঙ্গী ছিলেন। সেই সময় বামেদের বিরুদ্ধে গড়িয়া অঞ্চলে বহু আন্দোলন করেছেন, আন্দোলন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় আহত হতে হয়েছে মাখন চক্রবর্তীকে। প্রথমে কংগ্রেস করলেও পরবর্তীতে মমতা ব্যানার্জির সাথে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। নিজে সরকারি চাকরি করলেও দলের থেকে কোনদিনও সুযোগ সুবিধা লাভ করেন নি বরং নিজের বেতন থেকে দলের জন্য টাকা ব্যায় করেছেন। ১৯৯৪ সালে দলের স্বার্থে ডিভিসি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন মাখন চক্রবর্তী। গতকাল বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে বয়সজোনিত কারণে ৮৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গতবছর কোভিডে একমাত্র সন্তানকে হারান। রেখে যান স্ত্রী, কন্যা, জামাতা, দুই নাত্নি ও এক নাতিকে।
মাখন চক্রবর্তীর মৃত্যু সংবাদ পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যান সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পৌরপিতা পিন্টু দেবনাথ, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি হিমাংশু দে (মিঠু) ও শিবু কর। মাখন চক্রবর্তী একসময় এই গড়িয়া অঞ্চলে আজকের বহু নেতৃত্বকে হাতে ধরে তৈরি করেছেন তাদের কিন্তু এই শেষ মুহুর্তে দেখা যায় নি। যারা একসময় মঞ্চে উঠে মাইক ফুকে বলতেন মাখন চক্রবর্তী তাদের রাজনৈতিক অভিভাবক তারা কেউ হাসপাতালে গিয়ে চোখের দেখা দেখতে যান নি।
হাসপাতালে দেখা যায় নি গড়িয়া তৃনমূল কংগ্রেস টাউন সভাপতি বিভাস মুখার্জিকে (মনু), যদিও এখন টাউন কমিটি নেই, দলীয়ভাবে তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে খেলা হবে দিবসে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা চলাকালীন এই সংবাদ পেয়েই পৌরমাতা পাপিয়া হালদার খেলা বন্ধ রেখে মাখন চক্রবর্তী-র আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। মাখন চক্রবর্তী-র নিথর দেহ তৃনমূল কংগ্রেসের পতাকা দিয়ে ঢাকা দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হয়। বিভাস মুখার্জি নিয়ম রক্ষার জন্য বাড়িতে গিয়ে শুধুমাত্র একটা মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বলে জানা যায় আর কোন কর্তব্য পালন করেন নি। মাখন চক্রবর্তী-র শেষকৃত্য গড়িয়ায় সম্পন্ন হয়।