বাঘাযতীন তরুণ সংঘের উদ্যোগে “পিঠে পুলি উৎসবে” অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা, যশ ও সাংসদ মনীষ গুপ্ত
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ৪ঠা জানুয়ারি ২০২০ : পৌষ মানেই হিম হিম হাওয়া। সেই হাওয়ায় নলেন খেজুর গুড়ের আকুলিবিকুলি গন্ধ। সঙ্গে বাঙালির বাজারের থলে থেকে চালের গুঁড়ো, ময়দা, নারকেল, খোয়া ক্ষীর আরও অনেক কিছুর উঁকিঝুঁকি। পৌষ এলে আজও বাঙালি মন উন্মনা পৌষ-পার্বণ, পিঠে-পুলির জন্য। আস্কে পিঠে, গোকুল পিঠে, পাটিসাপ্টা, দুধপুলি হয়ে নতুন গুড়ের পায়েস—হাতছানি দেয়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তিন বছরে পা রাখল বাঘাযতীন তরুণ সংঘের পিঠেপুলি উৎসব ২০২০। বাঘাযতীন তরুণ সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে প্রতি বছর শীতের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় “পিঠে পুলি উৎসব”। এবছরও তার কোন ব্যতিক্রম ঘটে নি। মোট ২৬টি স্টলে ছিল নলেন গুঁড়ের তৈরি মিষ্টান্ন ছাড়াও কেক ও হাতে করা রকমারি দ্রব্যের সম্ভার।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2020/01/Pithe-Puli-2020-1024x470.jpg)
ক্লাবের প্রধান উদ্যোক্তা গৌতম ঘোষ জানান, এটা আমরা শুধুমাত্র এলাকার মানুষের একটা মিলন ক্ষেত্র করার উদ্দেশ্যে আয়োজন করি, এই উৎসবের থেকে কোন মুনাফা নেওয়ার মানসিকতা না রেখেই এই উৎসব করা হয়। বাঘাযতীন তরুণ সংঘ তাদের দুর্গা পূজার জন্য দক্ষিণ কলকাতা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একটা প্রতিষ্ঠিত নাম।এখানে যেমন ক্লাবের সদস্যদের পরিবার অংশগ্রহণ করে ঠিক একইভাবে ক্লাবের সদস্য নয় এমনও মহিলা গোষ্ঠী অংশগ্রহণ করে। আমরা সকলের সুবিধার্থে যথেষ্ট পরিমানে জায়গা দিয়ে থাকি যাতে তাদের কোনরকম অসুবিধা না হয় স্টল পরিচালনা করতে।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2020/01/Pithe-Puli-2020_1-1024x494.jpg)
২০১৮ সাল থেকে এই সময় ক্লাবের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পিঠে উৎসবে সামিল হয়ে নিজের হাতে পিঠে বানান প্রিয়াঙ্কা সরকার।তিনি আরও জানান এই উৎসব থেকে উপার্জনের টাকা ক্লাবের সদস্যরা কাজে লাগান সমাজসেবায়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মনীষ গুপ্ত, অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, কাঞ্চন মল্লিক ও ঘরের মেয়ে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার।সাংসদ মনীষ গুপ্ত বলেন, পিঠে পুলি উৎসব বাঙালিদের প্রধান পার্বণ।এই রেওয়াজ বহু বছর ধরে চলে আসছে।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2020/01/Pithe-Puli-2020_3-1024x549.jpg)
মা, পিশিমা ও ঠাকুমারা ঠিক শীত পড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন তৈরি করতেন আর তার প্রধান উপকরণ ছিল নলেন গুঁড় বা অনেকে বলেন নতুন গুঁড়। পূজার মাধ্যমে রীতি রেওয়াজ মেনে এই উৎসব পালিত হত। আজ সেই সময়ের অনেক মিষ্ঠান্ন বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিন্তু এই উৎসবের মাধ্যমে আবার ফিরে পাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে, আজকের বাঙালি মহিলারা সেই হারিয়ে যাওয়া স্বাদ আবার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রয়াস করছেন। প্রচারে সদীপ যাদব।
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2020/01/Pithe-Puli-2020_2-1.jpg)
![](http://takmaaa.com/wp-content/uploads/2020/01/Pithe-Puli-2020_1-2-1024x695.jpg)