পূর্ব ভারতে প্রথম হ্যালসিয়ন (Halcyon™) রেডিয়েশন থেরাপি সিস্টেম চালু করল অ্যাপোলো গ্লেনঈগলস হসপিটালস
অম্বর ভট্টাচার্য, এবিপিতকমা, কলকাতা, ২৮শে আগস্ট ২০২০ : অপটিমাইজড ইমেজ গাইডেড রেডিও থেরাপির জন্য অত্যাধুনিক হ্যালসিয়ন (Halcyon™) রেডিয়েশন থেরাপি সিস্টেম লঞ্চ করে পূর্ব ভারতের ক্যান্সার রোগীদের নতুন আশার আলো দেখাল অ্যাপোলো গ্লেনঈগলস হসপিটালস। এর ফলে অত্যন্ত উন্নত মানের ক্যান্সার চিকিৎসা সম্ভব হবে। পূর্ব ভারতে এই প্রথম চালু হওয়া হ্যালসিয়ন সিস্টেমের ডিজাইন মানুষের কথা মাথায় রেখে তৈরি। ফলে অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যসম্পন্ন ক্যান্সার চিকিৎসা সম্ভব হয়।এই পদ্ধতিতে নির্ভুল চিকিৎসা করা যায় প্রচলিত প্রযুক্তির চেয়ে চার গুণ পর্যন্ত বেশি গতিতে।
ডাঃ প্রতাপ সি রেড্ডি, চেয়ারম্যান, অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপ, বলেন “আমাদের সমস্ত প্রয়াসই রোগীর কথা বিশেষ নজরে রেখে তৈরি।আমরা উন্নত দেশগুলোর সমান গতিতে মেডিকাল প্রযুক্তির উন্নতিগুলো এবং অত্যাধুনিক চিকিৎসা তাঁদের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করি।সেই কাজের অঙ্গ হিসাবে এই উন্নত হ্যালসিয়ন (Halcyon™) রেডিয়েশন সিস্টেম পূর্ব ভারতের ক্যান্সার রোগীদের হাতে সবার প্রথমে তুলে দিতে পেরে আমরা গর্বিত। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে এটা খুব প্রয়োজনীয় সংযোজন। ক্যান্সারের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়া সত্যিই খুব চিন্তার।শ্রেষ্ঠ মেডিকাল প্রযুক্তি নিয়ে এসে রোগীদের উচ্চমানের চিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর হার কমানো এখন আবশ্যিক।আমাদের অঙ্কোলজিস্টদের হাতে আরো বেশি রোগীর চিকিৎসা করার মত যন্ত্রপাতি তুলে দেওয়াও একান্ত জরুরী।আমরা এই সিস্টেম পূর্ব ভারতের মানুষকে উৎসর্গ করছি।আশা করছি প্রিসিশন রেডিয়েশন থেরাপির গুণমান বদলে দেওয়া এই সিস্টেম পূর্বাঞ্চলের বহু ক্যান্সারের রোগীকে উপকৃত করবে এবং অনেক জীবন বাঁচাবে।”
হ্যালসিয়ন (Halcyon™) রেডিয়েশন থেরাপি সিস্টেমের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যসম্পন্ন থেরাপি টিউমারের আশপাশের সুস্থ টিস্যুগুলোর ক্ষতি না হওয়া বা ন্যূনতম ক্ষতি নিশ্চিত করে।মাথা, ঘাড়, প্রস্টেট, ফুসফুস ইত্যাদির ক্যান্সারে এর ফলে দারুণ লাভ হয়।টাইট ফোকাসে নিখুঁতভাবে দেওয়া রেডিয়েশন সুস্থ টিস্যুগুলোর ক্ষতি আটকায়। ফলে ক্যান্সার চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম হয়। এই উন্নত ব্যবস্থা পুরনো রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবস্থার চেয়ে কম ধাপে চিকিৎসা শেষ করে।এটা করা হয় ইন্টেলিজেন্ট অটোমেশনের মাধ্যমে, যাতে চিকিৎসায় কম সময় লাগে এবং রোগীর পক্ষে চিকিৎসা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়।
মিস পৃথা রেড্ডি, ভাইস চেয়ারপার্সন, অ্যাপোলো হসপিটালস গ্রুপ, বলেন “অ্যাপোলো হাসপাতালে আমরা ভারতে ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নতিতে সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছি এবং ধারাবাহিকভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রোগীদের স্টেট-অফ-দি-আর্ট চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক থেকেছি। হ্যালসিয়ন (Halcyon™) রেডিয়েশন থেরাপি সিস্টেম রোগীর কথা বিশেষ নজরে রেখে তৈরি।এই ব্যবস্থায় রোগীর সাথে আরো বেশি সংযোগ নিশ্চিত।ফলে আমাদের অঙ্কোলজি টিম আরো বেশি দক্ষভাবে নজিরবিহীন চিকিৎসা করতে পারবেন, অথচ রোগীর জন্য পরিবেশটা ভীতিপ্রদ হবে না, বরং তিনি স্বচ্ছন্দ এবং নিশ্চিন্ত বোধ করবেন।”
শ্রী রানা দাশগুপ্ত, সি ই ও (পূর্বাঞ্চল), অ্যাপোলো গ্লেনঈগলস হসপিটালস বলেন “হ্যালসিয়ন (Halcyon™) রেডিয়েশন থেরাপি সিস্টেম আগের চেয়ে কম সময়ে, বেশি দক্ষভাবে নজিরবিহীন চিকিৎসা করার সুযোগ দেয়।তাও আবার এমন একটা পরিবেশে যা রোগীর পক্ষে কম ভীতিপ্রদ, বরং বেশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ এবং নিশ্চিন্ত থাকার মত। রোগীর স্বাভাবিক জীবনে বাধা পড়ে খুব কম।এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের সব রোগীর পক্ষেই সাশ্রয়কর ক্যান্সার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারার ক্ষমতার কারণে।”
হ্যালসিয়ন সিস্টেমের অনেকগুলো সুবিধা আছে।যেমন স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা, রোগীর স্বাচ্ছন্দ্য, অঙ্কোলজি টিমের ব্যবহার করার সুবিধা এবং দ্রুততর ইনস্টলেশন।এই ব্যবস্থায় ইনস্টলেশন থেকে প্রথম চিকিৎসার মাঝের সময়টা কমে যায় কিন্তু চিকিৎসার গুণমান কমে না।রেডিয়েশন থেরাপি প্রক্রিয়ার প্রত্যেকটা দিক আরো সরল এবং উন্নত হয় এই ব্যবস্থায়।সঙ্গে থাকে ইমেজ গাইডেন্স আর ইন্টেন্সিটি মড্যুলেশন রেডিওথেরাপি, যা রোগীর স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ায়।সংহত ওয়ার্ক ফ্লো এর কারণে হ্যালসিয়ন সিস্টেমে চিকিৎসা শুরু থেকে শেষ করতে মাত্র নটা ধাপ লাগে, যেখানে পুরনো প্রযুক্তিতে লাগত ৩০ টা ধাপ।এই উন্নত ওয়ার্ক ফ্লো দক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।এর সাধারণ ওয়ার্ক ফ্লোগুলো আয়ত্ত করা সহজ, ফলে চিকিৎসক রোগীকে বেশি সময় দিতে পারেন।
ইন্টিগ্রেটেড ইন্টারকম একজন থেরাপিস্ট আর রোগীর মধ্যে তাৎক্ষণিক এবং পরিষ্কার কথাবার্তার ব্যবস্থা করে। এই সিস্টেম মসৃণ এবং সহজে চালানো যায়।নিঃশব্দ হওয়ার কারণে রোগী নিরুদ্বেগ থাকতে পারেন এবং মনোযোগী হতে পারেন।ইন্টিগ্রেটেড অ্যামবিয়েন্ট লাইটিং সম্পন্ন ১০০ সেন্টিমিটার ব্যাসের একটা গর্ত থাকায় রোগীকে দমবন্ধ করা পরিবেশে থাকতে হয় না।প্রচারে : অ্যাডফ্যাক্টর।