গড়িয়ায় ডেঙ্গির প্রভাব দেখা গেলেও পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেঙ্গি পরিক্ষার কিট নেই, নাজেহাল সকলে
নিজস্ব প্রতিনিধি, তকমা নিউজ, সোনারপুর, ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ : গড়িয়ায় ডেঙ্গির প্রভাব দেখা দিচ্ছে, ইতিমধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের তথ্য ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ জন, ২ নং ওয়ার্ডেও আমাদের তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত হয়েছেন ৩-৪ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ৩জন, ৫ নং ওয়ার্ডের খবর নেই আমাদের কাছে। কিন্ত আশ্চর্য্যের বিষয় হল গড়িয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র থাকলেও সেখানে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা যাচ্ছে না কারণ সেখানে নাকি ডেঙ্গি-র কোন কিট নেই বলে জানান পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাহলে প্রশ্ন? গড়িয়ায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে কোথায় এই পরীক্ষা করা যাবে? স্বাভাবিকভাবে একটাই উত্তর বেসরকারিভাবে করাতে হবে।
এব্যাপারে আমরা রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার পৌর প্রধান ডাঃ পল্লব দাসের সাথে কথা বলি এবং তিনি জানান, ডেঙ্গি পরিক্ষা ও প্লেটলেট কাউন্ট রথতলায় মাতৃ সদন হাসপাতালে সোম, বুধ ও শুক্র এবং গড়িয়ায় মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার হবে বেলা ১টা পর্যন্ত। কিন্তু মাতৃ সদনে হলেও গত একমাস ধরে গড়িয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেঙ্গির কিট নেই বলে জানান হেলথ সুপারভাইজার পুষ্পা দাস। তিনি এমনও জানান গড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্লেটলেট কাউন্টের পরীক্ষা করা হয় না, যদি ডেঙ্গি ধরা পড়ে তবে হাসপাতালে গিয়ে করাতে হয়। তবে গড়িয়ার মানুষ সেই মাতৃ ভবনে গিয়ে পরীক্ষা করবে?
গড়িয়ায় কি বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা এবার ভেবে দেখুন। যেখানে সরকার থেকে বারবার বলা হচ্ছে ডেঙ্গির মোকাবিলা করতে সেখানে গড়িয়ায় ২ নং ওয়ার্ডে না পড়ছে ব্লিচিং না দেওয়া হচ্ছে মশা মারার তেল। এই কথা বলতে পুষ্পা দাস জানান, এখানে খোলা ড্রেন নেই তাই দেওয়া হচ্ছে না, আমাদের বলা হয়েছে যেখানে খোলা ড্রেন থাকবে সেখানেই দিতে। তাহলে সব কথার পিছনে একটা অজুহাত তৈরি করা আছে। এবার গড়িয়ায় ডেঙ্গি হলে পরিক্ষা করা যাবে না, যেখানে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেন আছে সেখানে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা যাবে না। কিন্তু ডাঃ পল্লব দাস জানান যেহেতু মাতৃ সদন পৌরসভার অন্তর্গত প্রধান হাসপাতাল সেখানে নির্ধারিত দিনে ডেঙ্গি পরিক্ষা হচ্ছে। এদিকে গড়িয়ার ২, ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে রাস্তা খানাখন্দ হয়ে থাকার ফলে বর্ষার জল জমে আছে, সেদিকেও কোন নজর নেই পৌরসভার পৌর প্রতিনিধিদের। গড়িয়ার বাসিন্দারাও অনেকে অভিযোগ করেছে যে আমাদেরও বলা হয়েছে ডেঙ্গুর কিট নেই বলে পরীক্ষা হচ্ছে না। এখানেই বোঝা যাচ্ছে কাজের নামে সবটাই ফাঁকিবাজি চলছে। কে যে সত্যি আর কে যে মিথ্যা সেটা বোঝাই দায়। স্বাস্থ্যকর্মীরা সত্যি বলে ফেলছে বলে পৌর প্রধান সেটা ঢাকার চেষ্টা করছেন কিনা বোঝা যাচ্ছে না।