নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট অস্টিওআর্থ্রাইটিসের অসহ্য হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তির একমাত্র স্থায়ী সমাধান
অম্বর ভট্টাচার্য, তকমা নিউজ, কলকাতা, ২৪শে আগস্ট ২০২২ : অস্টিওআর্থ্রাইটিসে হাঁটুর অস্থিসন্ধির কার্টিলেজ ক্ষয়ে যায় ও এই ক্ষয় কোনভাবেই পূরণ হয় না। এই ক্ষয়প্রাপ্ত হাড় নার্ভরুটে চাপ দিলেই শুরু হয় ব্যথা। একটা সময়ে মানুষ অসহ্য ব্যথায় কাতর হয়ে সব কাজ কর্ম ছেড়ে শয্যা নিতেন দিন গোণা শুরু হোত। আজ দিন বদলেছে। ক্ষয়প্রাপ্ত হাঁটু বদলে কৃত্তিম হাঁটু প্রতিস্থাপন করে মানুষ আবার ফিরে যাচ্ছেন তাঁদের কাজের জগতে।
ভারতের নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারিতে ডাঃ সন্তোষকুমার একটি উল্লেখযোগ্য নাম। একজন অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে তাঁর চিকিৎসক জীবনের যাত্রা শুরু করে কিছুদিনের মধ্যে তিনি শুধুমাত্র জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারিতে মনোনিবেশ করেন আর দুই হাজার এগার থেকে এই কয় বছরে তাঁর শুধুমাত্র নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্টের সংখ্যা পনের হাজারের গন্ডী পার হয়ে গেছে! আজকে তাঁর এই সাফল্যের উৎযাপন অনুষ্ঠানে ডাঃ সন্তোষ কুমার জানান যে,১৯৬৮তে প্রথম কৃত্তিম প্রস্থেসিসের সাহায্যে হাঁটু প্রতিস্থাপন শুরু হওয়ার পর থেকে এই কয় দশকে ধাপে ধাপে নি জয়েন্ট সার্জারিতে বৈপ্লবিক উন্নতি হয়েছে। একদিকে যেমন সাধারন ওপেন সার্জারি থেকে শূধুমাত্র কয়েকটি ছিদ্র করে মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারি এসেছে তেমনই পদ্ধতিতেও এসেছে পরিবর্তন।
আজকে অত্যাধুনিক জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি করা হচ্ছে ফুললি অ্যাক্টিভ রোবটিক সিস্টেমের সাহায্যে। এর ফলে আজ প্রতিটি নি জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট হয়ে উঠেছে সহজ, নিশ্চিত, নিরাপদ ও একশ শতাংশ সফল।এই অপারেশনের পর সিঁড়িতে ওঠানামা, মর্নিংওয়াক, বাজার করা, বাসে যাতায়াত, গাড়ি চালান থেকে পাহাড় বা সমুদ্রে বেড়াতে যাওয়ার মতো সব কাজই খুব ভালভাবে আর সহজে করা যায়। জনসাধারণের প্রতি তাঁর বার্তা প্রয়োজনে নি রিপ্লেসমেন্ট করান তবে ছোট থেকে ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করে পেশীর শক্তি বাড়ান, হাঁটুর ব্যথাকে দূরে রাখুন।
পূর্বা ইন্টারন্যাশানাল অর্থোপেডিক ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে অর্থোপেডিক চিকিৎসায় জন সচেতনতা প্রসার ও গবেষনায় কাজ করে আসছে। আজকে তাঁদের আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ডা. সন্তোষ কুমার ছাড়াও কয়েক জন রোগী হাঁটু প্রতিস্থাপনের আগে পরে তাঁদের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন।